Wednesday, October 15
Shadow

Author: webgolpo2024

শরৎ রাতে 

শরৎ রাতে 

ছড়া
শাহীন খান  শরৎ  রাতে ঘুম আসে না চোখে ইচ্ছে করে যাই হারিয়ে দূরে মনটা মাতাই রাখাল বাঁশির সুরে যে যা বলে বলুক পাড়ার লোকে।  শরৎ রাতে তারার সাথে খেলি জোনাক পোকা থাকে না নিশ্চুপ রূপকাহিনি গল্প শুনি খুব  পরির সাথে ভাবের পাখা মেলি।  শরৎ রাতে জোছনা ঢালে চাঁদ গুনগুনিয়ে ওঠে আমার মন মনকে বলি পাগলা আমার শোন প্রকৃতির কাছে নেনা আর্শীবাদ। শরৎ রাতে শিউলি বেলীর ঘ্রাণ ঘ্রাণে ঘ্রাণে উদাস আমার মন বুকের ভেতর কি যে আলোড়ন গাছের তলে চায় যে যেতে প্রাণ।  শরৎ রাতে হঠাৎ মেঘের ডাক পুলকিত হৃদয় আমার ফের বৃষ্টি এলে সুখটা আমাদের সজীব হবে ফুল ফসল আর শাক।  ।।।।।।।। বানারীপাড়া  বরিশাল ...
তেঁতুল গাছের ভূত

তেঁতুল গাছের ভূত

কিশোর গল্প
সাঈদুর রহমান লিটন গ্রামের এক কোণে ছিল একটা পুরোনো তেঁতুল গাছ। লোকমুখে প্রচলিত ছিল, এই গাছে ভূতেরা বাস করে। সন্ধ্যা নামলেই কেউ আর ঐ পথ মাড়াত না। বড়রা বলত, ওই গাছের নিচে গেলে শাঁকচুন্নি ধরে নিয়ে যাবে। শিশুদের ভেতর এই গল্প বলে ভয়  জাগাত।শিশুরাও ভয় পেত। ছোট্ট রাফি ছিল অন্য রকম। সে খুব কৌতূহলী আর সাহসী ছেলে। ভূতের গল্প শুনে ভয় পেত ঠিকই, কিন্তু ভাবত, ভূতেরা কি সত্যিই খারাপ? তারা কি আমাদের মতো কেউ, না অন্য কিছু? মানুষ সবচেয়ে বুদ্ধিমান। মানুষ ওদের ভয় পাবে কেন? একদিন বিকেলে স্কুল থেকে ফিরে রাফি ঠিক করল, সে গাছটা দেখতে যাবে। মায়ের চোখ এড়িয়ে সে সোজা হেঁটে গেল তেঁতুল গাছের দিকে। সূর্য তখন ডুবে যাচ্ছে, চারদিকে হালকা আঁধার। তবুও রাফির বুক কাঁপল না। গাছটার নিচে গিয়ে সে বলল, হ্যালো, তেঁতুল গাছের ভূত? তুমি কেমন আছো? একটা নরম, বাতাসের মতো শব্দ শোনা গেল, তুমি ভয় পাচ্ছো না? রাফি...
শেষ ট্রেনের অপেক্ষা

শেষ ট্রেনের অপেক্ষা

রোমান্টিক ছোটগল্প
মামুন সরকার কমলাপুর স্টেশন রাত প্রায় ১১টা। মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। প্ল্যাটফর্মের বাতিগুলো হলদে পাতার মত ঝাপসা। ক্ষণে ক্ষণে বৈরী বাতাসে বৃষ্টির ছাঁট এসে যাত্রীদের গায়ে লাগছে। প্ল্যাটফর্মে অসংখ্য মানুষের আনাগোনা।  এদিক সেদিক দৌড় ছুট করছে। কিছু তরুণ যুবা দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে উঠানামা করছে।আবার কেউ কেউ দাঁড়িয়ে ভ্রাম্যমান টোকাইয়ের কাছ থেকে চা সিগারেট পান করছে। গরম চায়ের ধোঁয়া আর সিগারেটের গন্ধ মিলেমিশে অদ্ভুত একটা পরিবেশ। ভেজা রেললাইন ঝিকমিক করছে ট্রেনের হেডলাইটের আলোয়। একটা ট্রেন ধীর লয়ে  ঢুকে চার নম্বর প্লাটফর্মে, আরেকটা ছেড়ে যায় ছয় নম্বর থেকে।রুদ্র দাঁড়িয়ে আছে প্লাটফর্মের পিলার ঘেষে এক কোণে। তার ট্রেন রাত বারোটায়। রুদ্র যাবে রাজশাহী। হাতের  ব্যাগটা পায়ের কাছে রেখে চারদিকে চোখ ঘোরায়, একহাতে ধরা পুরনো মুঠোফোন। শরীরে পালস ধীরে চললেও বুকের ভিতর ক...
শেয়ালমারা পালোয়ান 

শেয়ালমারা পালোয়ান 

কিশোর গল্প
সাঈদুর রহমান লিটন  স্কুল ছুটি হয় চারটা পনেরতে। বাইকে চেপে বাড়ি ফিরতে ফিরতে সাড়ে চারটে বাজে। সেদিনও তাই হলো। বাড়ি ঢুকতেই বউ গরম গরম খবর দিলো, শুনছো, পাশের বাড়ির সঞ্জয় দাশের ছেলেকে শেয়াল কামড়েছে। আমি তো হতভম্ব। বউ জানাল, সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে টীকা দেওয়া হয়েছে। ব্যাপারটা এখানেই শেষ হয়নি। সঞ্জয়ের ভাইস্তে যখন প্রথম দেখেছিল, তখন বাচ্চাটাকে বাঁচাতে গিয়ে সেও শেয়ালের আক্রমণের শিকার হয়। ভাগ্যিস লোকজন দৌড়ে এসে বাঁচালো, নাহলে হালুয়া হয়ে যেত! শেষমেশ হৈচৈয়ের মাঝে শেয়ালটা প্রাণ বাঁচাতে একটা ঘরে ঢুকেছিল, কিন্তু গ্রামের লোকজন ধাওয়া করে মেরে ফেললো। শেয়ালটির অকাল ইন্তেকাল হলো বটে, কিন্তু গ্রামজুড়ে যেন এক উৎসব শুরু হয়ে গেল। কেউ বলছে, আমাদের গ্রাম তো বেশ সাহসী! শেয়াল ধরে মেরেছে। কিন্তু যে দুঃখী সঞ্জয় দাশের দুই বছরের ছেলেটাকে কামড়ে দিয়েছে, সেটা যেন সকলে ইচ্ছ...
বুড়ো দাদুর যাদুকরী ছাতা 

বুড়ো দাদুর যাদুকরী ছাতা 

কিশোর গল্প
মামুন সরকার একটা ছোট্ট গ্রামে থাকতেন বুড়ো এক দাদু । দাদু ছিলেন খুব দয়ালু আর বুদ্ধিমান। তাঁর সবচেয়ে প্রিয় জিনিস ছিল একটা ছাতা। ছাতাটা তাঁর সঙ্গী হিসেবে সব সময় সাথে থাকে। ছাতাটা ছিল একটু পুরানো, লাল রঙের। শিশুদের হাসি আনন্দ তাঁর খুব প্রিয়। রাস্তা ঘাটে শিশুদের খেলতে দেখলে বুড়ো দাদু বলতেন, “এই ছাতাটা আমার যাদুকরী ছাতা।” দাদুর কথায় শিশুদের মনে বেশ কৌতূহল জাগে। ছাতার মধ্যে আবার জাদু আছে? এক শিশু ফোকলা দাঁত বের করে বলে, তা দাদু, তোমার ছাতার মধ্যে কী জাদু আছে আমাদের একটু দেখাও না।  দাদু একগাল হেসে বলেন, দেখাব, নিশ্চয়ই দেখাব। এক শরতের বিকাল। হঠাৎ করে আকাশে মেঘ জমল। সূর্যকে ঢেকে মেঘের ছায়া পড়েছে খেলার মাঠে। বাতাসে সাদাকালো মেঘরাশি তুলোর মত উড়ছে। সবাই ভাবল, বৃষ্টি হবে। বুড়ো দাদু ছাতা নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মাঠে এলেন। উড়ন্ত মেঘ থেকে হালকা বৃষ্টি পড়তে শুরু করল। দাদু একটা...

নদী ও শূন্যতা

কবিতা
হাসান মাহমুদ নদী শুকিয়ে যায়, জেগে উঠে চর, শূন্যতার হাহাকার আমার ভিতর। নিঃশব্দ এখানে জোছনা ও জলের গান, হু হু করে কেঁদে উঠে বিরহির প্রাণ। জল হারালে যেমন মরে পাথারের আশ্রয়, বিরহী প্রাণের তেমনি হচ্ছে ক্ষয়। নদীর শূন্যতা করে হাহাকার— শুনতে কি পাও গভীরের সে চিৎকার? ঢেউয়ের মতো স্মৃতি আসে, আবার মিলায় দূরে, মনের ভেতর জাগে ব্যথা, করুন সেই সুরে। জোছনা ও জলের মিলন, জোয়ারে ভরে নদী, শান্ত হতো বিরহীর প্রাণ, ভালোবাসতে যদি। শুকনো নদী আমার মতো, বুকের ভেতর তারও ক্ষত, জোছনা-জলের মিলন হবে—বিরহ আমার অবিরত।।...
মন চায়

মন চায়

কবিতা
আব্দুস সাত্তার সুমন মন চায় দুরন্ত ঘোড়া হতেছুটে চলা বাতাসের মতো ছুটতে,মন চায় পাখির মত উড়তেউড়ন্ত পাখির মত ডানা মেলে ঘুরতে। মন চায় শীতল স্রোতে ভাসতেমন চায় প্রাণ খুলে হাসতে,মন চায় মেঠো পথে চলতেমন চায় প্রাণ খুলে বলতে। মন চায় আকাশের মেঘে ভাসিমন চায় অচিনপুরের থাকি দিবানিশি,মন চায় ফুলকে ভালোবাসিমনে চায় নাতিশীতোষ্ণ হতো বারোমাসি। মন চায় যুগ যুগান্তরে একই সাথে থাকিমন চায় শিশির ভেজা পরশ সকালে মাখি,মন চায় সুন্দরকে ধরে রাখিমন চায় প্রভু প্রেমে আমি শুধু ডাকি। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বাংলাদেশ...
ভালোবাসার আবির

ভালোবাসার আবির

রোমান্টিক ছোটগল্প
সাবরিনা তাহ্সিন মৃদুলা বেশ ভালো কবিতা আবৃত্তি করে।সে যখন কবিতা আবৃত্তি করে ,তখন যেন এক সুরের মূর্ছনা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।"উদীচী নাট্যদল" এর সহ-সংগঠন " সুরের আলপনা " যেখানে আবৃত্তি চর্চা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।মৃদুলা " সুরের আলপনা " থেকে আবৃত্তি প্রশিক্ষণ নেয়।তারপর কোনো না কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও মৃদুলা বেশ পরিচিত মুখ। সেই সুবাদে আবির নামে এক ব্যাক্তি মৃদুলাকে মেসেঞ্জারে নক দেয়।মৃদুলা প্রথমে পাত্তা দেয় না।তারপর ঐ ব্যক্তি যখন আবেগীয় কিছু কবিতার লাইন লেখে ,তখন মৃদুলা একটু ঐ ব্যাক্তির সাথে কথা বলতে আগ্রহী হয়। ( রোমান্টিক গল্প ভালোবাসার আবির ) মৃদুলা লেখে ," বাহ্ ,অনেক সুন্দর কবিতা লিখেন তো আপনি ।"আবির বলে ," এইতো ,একটু চেষ্টা করি আর কী ।আপনার সাথে কথা বলে ভালো লাগছে।আপনার ব্যাপারে অনেক জানি। আপনিও অনেক ভালো কবিতা আবৃত্তি করেন।"মৃদুলা বল...
অসহায়

অসহায়

সামাজিক গল্প
প্রায় দশ লাখ টাকা যৌতুকের বিনিময়ে আমার বিয়ে হলো একটা এনজিওতে কর্মরত শহীদ নামক একজনের সাথে, বাবা-মায়ের টাকা গেলেও তারা এখন ভারমুক্ত কারন আমার মতো কালো বর্নের কুশ্রী চেহারার একটা মেয়ের সারা জীবনের জন্য একটা ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। ছেলেটার চাকরী অত্যন্ত সাধারণ, খুব কম আয় তাতে অবশ্য আমার বাবা-মায়ের কিছুই যায় আসে না, তারা বোঝা নামিয়েছেন। ( সামাজিক গল্প ) আমার স্বামী শহীদ দেখতে আহামরি তেমন কিছু না, বোনের বিয়ে হয়ে গেছে , বাবা মা রা গেছে বছর সাতেক আগে , মা তার সঙ্গেই থাকেন। বিয়ের এক মাসের মাথাতেই আমি বুঝে গেলাম আমার প্রতি তার কোন আগ্রহ নেই ,আগ্রহ যতটুকু ছিল ওই দশ লাখ টাকার উপরে তাই এতদিন হয়তো আমার সাথে ভালো ব্যবহার করেছে আর এখন পান থেকে চুন খসলেই যাচ্ছে তাই ব্যবহার করে এমনকি তুই-তোকারি করে, গা'লিগালা*জ তো বাদই দিলাম। সামাজিক গল্প অসহায় কিছুদিন পর দেখলাম ও অন্য রুমে শুচ...
এই যে দুনিয়া

এই যে দুনিয়া

কবিতা
      নার্গিস আক্তার  এই যে দুনিয়া কেউ কারো নয়। মিথ্যা এই দুনিয়া চলছে বাতাসে। মানুষ ঘুরতে বাতাসের তালে থাকিবে না বাতাস যেতে হবে দুনিয়া ছেড়ে। পড়ে রইবে মাটির ঐ অন্ধকার ঘরে। যাবেনা কিছু তোমারি সঙ্গে। পড়ে থাকবে তোমার দুনিয়াদারি। মাটির দেহ ধরবে ঘুনে পচে যাবে সারা শরীর। দেখিবে না কেউ থাকিবে না কেউ পাশে। এই যে দুনিয়া মিছা দুনিয়া সময় যাচ্ছে যে চলে ঘড়ির কাটার মতো। সময় থাকতে করো তোমরা দুনিয়াদারি। নার্গিস আক্তার  গোপালগঞ্জ, ইসলাম পাড়া বাংলাদেশ...