Friday, July 18
Shadow

Tag: মোঃ আশতাব হোসেন

খোকার ঈদ

খোকার ঈদ

কিশোর গল্প
মো. আশতাব হোসেন : কোরবানি ঈদের চাঁদ দেখে চঞ্চলের খুশির সীমা নেই।  ঈদের আর ক'দিন বাকি আছে চঞ্চল প্রতিনিয়ত গুণতেই আছে । তার অপেক্ষা যেন শেষ হচ্ছে না।  ইতোমধ্যেই তার বাবা মজিদ সরকার চঞ্চলের ঈদের নতুন জামাকাপড় কিনে দিয়েছে। চঞ্চল তার বন্ধু বান্ধবদের ডেকে এনে নতুন পোশাকগুলি দেখায় রোজ রোজ। কেউ যদি বলে, বাহ্! তোমার পোশাকগুলি অসাধারণ হয়েছে। তাহলে তার  খুশির সীমা থাকে না।পাশের বাড়ির এক বয়স্ক মহিলা যাকে চঞ্চলসহ তার বয়সী সকল ছেলেমেয়েরা দিদা বলে ডাকে, তাকে হাত ধরে নিয়ে আসে চঞ্চল তার নতুন পোশাক দেখানোর জন্য। বুড়ি তো ঠিকমতো চোখেই  দেখে না বয়সের ভারে। কিন্তু ছোট চঞ্চল এতোকিছু বুঝে না। সে পোশাক বের করে বলে, ' দিদা, আমার ঈদের পোশাকগুলি কেমন হয়েছে দেখো তো? দিদা হাতে নেড়ে নেড়ে চঞ্চলের জিন্সের প্যান্ট দেখে বলে,  'বেশতো চঞ্চল,  খুব মোটা আছে। শীতের মধ্যে আরাম হবে, শীত লাগবে না  তোর।' এর...

সৌরভ বিলায়

কবিতা
মোঃ আশতাব হোসেন নব যৌবন প্রাপ্ত  জীর্ণ  বৃক্ষ বুড়া, আকাশে রং ছড়ায় পলাশ কৃষ্ণচূড়া। কোকিল ছড়িয়ে দেয় রাজ আসার বাণী, বৃক্ষ শাখে  ঘুরে ঘুরে  মিস্টি কুহু ধ্বনি। প্রকৃতির সদস্য শুনে আনন্দে দোল খায়, আঁচল ভরে বাতাস সৌরভ বিলায়। গ্রাম :ইসলামাবাদ, ডাকঘর বলদিয়া  ভূরুঙ্গামারী, কুড়িগ্রাম ...
ডিম নিয়ে এলাহিকাণ্ড

ডিম নিয়ে এলাহিকাণ্ড

রম্য রচনা
মো. আশতাব হোসেন : ঝুমুর মিয়া অনেকটাই অলস, তার মধ্যে সবেমাত্র  বিয়ে করে নতুন বধূ ঘরে এনেছে । বউকেও তেমন কিছু দিতে পারে না। যা দরকার ঝুমুর মিয়ার বাবাই কিনে দেয় বউকে। সবারই একান্ত ব্যক্তিগত কিছুর দরকার হয়।  বউরাও স্বামীর কাছে কিছু আশা করে।  কিন্তু ঝুমুর মিয়ার কিছু দেওয়ার সাধ্য নেই। বাবার ঘাড়ে খায় এটাইতো বেশী। এসব দেখে  বউ একদিন ভাবে বাবা-মা কেমন অলস জামাই দেখে বিয়ে দিয়েছে! সে কিছুই কিনে দিতে পারে না! এর পর ঝুমুর মিয়াকে বলে এই শোনো, এমন করে বসে থাকলে ভবিষ্যৎ জীবন চলবে কেমনে?  কিছু একটা তো করো। ঝুমুর বলে কি আর করব!  আমার কাছেতো কোনো টাকা পয়সা নেই। বউ বলে আচ্ছা  আমার কাছে কিছু টাকা আছে সেটা দিয়ে ডিমের ব্যবসা করবে। গ্রাম থেকে ডিম কিনে তা বাজারে বিক্রি করবে।  বাজারেতো ডিমের হালি ৪০ টাকা, আর গ্রাম থেকে কিনতে পারবে ৩০টাকা।  তুমি ...