Friday, July 18
Shadow

Tag: ভূতের গল্প

ভয়ানস্কির চ্যালেঞ্জ

ভয়ানস্কির চ্যালেঞ্জ

কিশোর গল্প, রম্য রচনা
কিশোরদের জন্য ধ্রুব নীলের মজার ভূতের গল্প দ্য ভৌতিক টাইমস পত্রিকাটা হাতে নিতেই মেজাজ খারাপ হয়ে গেল ভূতবিজ্ঞানী ভয়ানস্কির। প্রথম পাতায় বড় বড় করে লেখা। চাঁদের আলোর ভয়াবহ সঙ্কট আলোর পাশাপাশি বেশি করে আলু খান নিজস্ব ভূতাংদিক, পোড়াবাড়ির ছাদ থেকে: মানুষের তৈরি উঁচু উঁচু ভবনের আড়ালে আশঙ্কাজনক ভাবে ঢাকা পড়েছে চাঁদ। গত এক মাসে তাই চাঁদের আলোর দাম বেড়েছে লিটারপ্রতি দশ টাকা। এ নিয়ে তিন দফা আলোর দাম বাড়লো। এ পরিস্থিতিকে ভূতাধিকারের চরম বিপর্যয় বলেছেন দেশের অন্যতম ভুতবিজ্ঞানী ভয়ানস্কি। তিনি আরো বলেছেন, ‘আমরা ভূতরা যদি মানুষের দেখাদেখি আলোর পরিবর্তে বেশি করে আলু খাওয়া শুরু করি, তাহলে খাদ্যসঙ্কট কিছুটা কমতে পারে।’ এটুকু পড়েই পত্রিকাটা ছুড়ে ফেললেন ভয়ানস্কি। ইদানীং কন্ধকাটাগুলোকে দিয়েই সংবাদ লেখানো হচ্ছে। মাথা থাকলে কি আর এসব হাস্যকর কথা লেখে! আলু খাওয়ার ব্যাপারটা ত...

ভূতের গল্প : মাছরাঙা ভূত

কিশোর গল্প
মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন সুন্দরপুর গ্রাম। গ্রামের পাশে ছলছলা নদী। নদীর পাশেই স্কুল। বাঁধ দেওয়াতে এবারের বর্ষায় বড় ধরনের ভাঙন নেই। তাই স্কুলটার রক্ষে। এই স্কুলেই পড়ে ফয়েজ। নবম শ্রেণিতে। ঝিলের খানিক দূরেই তার বাড়ি। ছোটবেলা থেকেই দুরন্ত। কেউ তাকে কোথাও ডাকলে মানা নেই। রাত কয়টা বাজলো সেদিকে খেয়াল নেই। দে ছুট। একটা জোড়ালো শখ তার মধ্যে আছে। সেটা হলো মাছ ধরার শখ। বরশি দিয়ে টেঁটা দিয়ে কিংবা পোলো দিয়ে মাছ ধরা তার অন্যরকম শখ। আজ রাতে বৃষ্টি হয়েছে। রাত এগারোটা পর্যন্ত স্যারের কাছে পড়তে এসে আটকে পড়ে যায়। রাত সাড়ে এগারোটায় বাড়ি ফেরে। ঝিলের পাশ দিয়েই ওর যাওয়ার রাস্তা। হাতে টর্চলাইট। হঠাৎ দেখল ঝিলের কিনারে লাফিয়ে উঠছে অনেক মাছ। তেলাপিয়া, কই শিং ইত্যাদি। শরীর থেকে শার্ট খুলে মাছ ভরতে লাগল। অনেক হয়েছে। শার্টে আর জায়গা নেই। ওজনও হয়েছে বেশ। ভালো করে গিট মেরে মাছ কাঁধে ফেলে দ্রুত বা...

গুলজার মামা ও মাজন সন্ন্যাসী 

কিশোর গল্প, হরর গল্প
জুয়েল আশরাফ  গুলজার মামা ভূত বিশ্বাস করেন না। কেউ ভূতুড়ে গল্প বললে তেতে ওঠেন। মামা একটা কোম্পানিতে ম্যানেজার পদে চাকরি করেন। অফিসের কেউ যদি তার সাথে ভূতের ভয়ানক কিছু বলেন, তাহলে মামা ভয় পান না। মামা বলেন, ভূত বলে কিছু নেই। এ সবই মানুষের মনের ব্যাপার। একদিন অফিসে বেশি কাজ থাকায় রাতে মামা বাড়ি ফিরছিলেন। বাইক নিয়ে আরাম করে বাড়ি ফেরার পথে, হঠাৎ নির্জন রাস্তায় বাইক বন্ধ হয়ে যায়। রাত অনেক হয়ে গেছে, এসময় কোনো দোকান খোলা থাকে না। বাইক ঠিক করতে পারবে না ভেবে টেনে নিয়ে হাঁটতে লাগলেন। কিছুদূর পৌছে দেখলেন বাসস্টপের কাছে মাজন সন্ন্যাসী বসে আছে। একসময় সে মাজন বিক্রি করত, তাই ওই নাম। ব্যবসায় লাভবান হয়নি, মাজন ব্যবসা ছেড়ে হালে সন্ন্যাসীর বেশভূষা ধরেছে। আজকাল কেউ আঙুলের মাথায় ছাইপাঁশ লাগিয়ে দাঁত মাজে না। সবাই এখন টুথপেষ্ট আর টুথব্রাশে অভ্যস্ত।  অনেকক্ষণ ধরে বাইক টেনে নি...