Thursday, July 17
Shadow

Tag: কবির কাঞ্চন

দখলদার কুকুরের গল্প

দখলদার কুকুরের গল্প

কিশোর গল্প
কবির কাঞ্চন : ক'দিন ধরে বনের এককোণে বসে বসে কাঁদছে একটি বিড়াল। সময় যতই গড়াচ্ছে তার কান্নার আওয়াজ ততই বাড়ছে। বিড়ালটির এমন বিলাপ করে কান্না দেখে বনের পশুপাখিদের খুব মায়া হয়। তাদের মধ্য থেকে কেউ কেউ কাছে গিয়ে সান্ত্বনা দিতেও ভুল করে না। কিন্তু বিড়ালের সব ঘটনা জানার পর সবাই যার যার মতো করে আফসোস করে। বিড়ালের জন্য দোয়া করে। তারপর নিজেদের গন্তব্যে চলে যায়। আর বিড়ালটি সকাল দুপুর রাতে শুধু কান্না করে। কিছুদিন যেতে না যেতে বিড়ালটির কান্নার আওয়াজ আরও তীব্রতর হয়ে ওঠে। ইতোমধ্যে বিড়ালটির পাশে দুটি বাচ্চা বিড়াল এসে যোগ হয়। তারাও কান্না করতে থাকে। তাদের দু'জনের গা থেকে অনবরত রক্ত ঝরছে। একদিন সেপথ দিয়ে অন্য একটা বিড়াল যাচ্ছিল। সে পাশের বনে থাকে। এ বনে বেড়াতে এসেছে। স্বজাতিদের একজনের এমন দুরাবস্থা দেখে তার খুব মায়া হলো। সে বিড়াল ও বাচ্চা বিড়ালগুলোর পাশে বসে সমব্যথী হয়ে জিজ...

একজন মায়ের গল্প

সামাজিক গল্প
কবির কাঞ্চন: জীবনের ঘানি টানতে টানতে হাঁপিয়ে ওঠা মানুষদের অন্যতম বিল্লুরাণী। একমাত্র ছেলে দীলিপ যখন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়তো তখনই তিনি স্বামীকে হারালেন। বিল্লুরাণীর স্বামী হরিপদ ছিলেন একজন প্রান্তিক জেলে। মহাজনের নৌকায় বছরব্যাপী কর্মচারী ছিলেন। সংসার খরচ মেটানোর জন্য আগে আগে মহাজনের কাছ থেকে দাদন নিতেন বলে অনেকটা গৃহপালিত কর্মচারীর মতো আচরণ করা হতো তার সাথে। সেবার একটানা আকাশের অবস্থা খারাপ ছিল। তারওপর হরিপদের শরীরের অবস্থাও ভালো ছিল না। সে নৌকায় না গিয়ে বাসায় ফিরে আসে। অসুস্থ শরীরে কাঁথা মুড়িয়ে শুয়ে থাকে।কিছুক্ষণের মধ্যে মহাজনের লোকজন এসে তাকে জোর করে কাজে নিয়ে যায়। যাবার বেলায় ছেলে দীলিপকে তিনি বলে গেলেন,  " ঠিকমতো লেখাপড়া করিস, বাবা। তোকে অনেক বড় হতে হবে। গরীবের লেখাপড়া ছাড়া আর কিছুই কাজে আসে না। আমি না থাকলেও লেখাপড়া সারাজীবন তোর পাশে থাকবে। তোকে পথ দেখাবে।"এরপর বিল...
লালুর খাবার

লালুর খাবার

কিশোর গল্প
কবির কাঞ্চন অমল বাবু স্ত্রী-পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে বের হলেন। এমুহূর্তে তাদের লক্ষ্য একটাই-রাত আটটার মধ্যে নাসিরাবাদ কাচ্চি ডাইনে পৌঁছা। গত কয়েকদিন ধরে স্ত্রী-পুত্র তাকে কাচ্চি ডাইনে যাবার জন্য রীতিমতো পাগল করে ছাড়ছিল। আজ অফিস থেকে বাসায় ফিরে এসে দিলীপের মুখের দিকে তাকাতেই সে বাবার কাছে বায়না ধরে,: আব্বু, আমরা কাচ্চি ডাইনে যেতে চাই। এই মাস তো প্রায় শেষ হতে চলেছে। আমাদেরকে কাচ্চি ডাইনে খাওয়াতে নেবে না?অমল বাবু দিলীপকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললেন,: অবশ্যই নেবো, বাবা। মন খারাপ করো না। যাও, তোমার আম্মুকে রেডি হতে বলো। আমরা এখনই কাচ্চি ডাইনে যাব। বাবার মুখ থেকে যাবার অনুমতি পেয়ে দিলীপ আনন্দে বাবার গালে চুমু খেয়ে একদৌড়ে মায়ের কাছে ফিরে আসে। পূজা রাণী ছেলেকে এমন আনন্দিত হতে দেখে জিজ্ঞেস করলেন,: কীরে বাবা, তোর আবার কী হয়েছে? তোকে যে খুশি খুশি লাগছে।: আম্মু, তাড়াতাড়ি রেডি হও। আব্বু কাচ্চি ডাইনে যেতে ...

পড়ন্ত বিকেলের প্রেম

রোমান্টিক ছোটগল্প
কবির কাঞ্চন চেয়ারে পিঠ ঠেকে চোখদুটো বন্ধ করে দাঁতে দাঁত কাটতে লাগলেন সোহান চৌধুরী। এ প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেছেন প্রায় তিন মাস হয়ে গেছে। তবু সবকিছু নিজের মতো করে চালিয়ে নিতে বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন। তবে কী তিনি কোনো ভুল পথে হাঁটছেন? তিনিই এখানকার সর্বেসর্বা। তার কথা সবার কাছে হুকুমের মতো। ইত্যাদি ভাবতে ভাবতে মুখে বিড়বিড় করেন, “না, না, আমাকে কোমল হলে চলবে না। অধীনস্থদের দৌড়ের ওপর না রাখতে পারলে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করা সম্ভব হবে না। তাছাড়া এখানে যারা কর্মরত রয়েছে তারা সবাই নিজ নিজ শাখায় প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছে। এদের ছাড় দিলে আমার নিজের দুর্বলতা ওদের সামনে ধরা পড়ে যেতে পারে। তাই যে যাই বলুক আমাকে কঠোর হতে হবে।” এরইমধ্যে নিঃশব্দে তার কক্ষে ঢুকে পড়েন জুলি ম্যাম। স্যারকে একাকী বিড়বিড় করতে দেখে খুসখুস কেশে বললেন, - স্যার, কিছু বলছেন? সোহান চৌধুরী সোজা হয়ে বসে জুলি ম্যা...