রকিবুল ইসলামের কয়েকটি কবিতা

সাথীহীন! কোন অভিযোগ করিনি কভু, রাখিনি কোন অনুযোগ তব তরে। বেসেছিনু শুধুই ভালো, পাইনি,চাইনি তার প্রতিদান। শত অভিমানেরা নেই তবু, প্রশ্নরা সকলি আজি গিয়েছে বিফলে। নিভেছে প্রদীপের আলো, চাওয়া-পাওয়ারা নেই এখন। দু:খের ছোঁয়া পেয়েছি শুধু, ছুটিনি যদিও নব জীবনের খোঁজে। স্বপ্নরা ছিল অগোছালো, তথাপি চলেছি পথ ভয়-ডরহীন। দু:খ আমার প্রিয় বন্ধু, সুখ যে আসেনি আদৌ…

দু:খ-সুখের ফেরিওয়ালা

রকিবুল ইসলাম দু:খ-সুখের ফেরী করি, কষ্ট,দুঃখ বিকি কিনি। ভুবন মাঝের হাট-বাজারে, সুখকে বেচে দুঃখ কিনি। নানান রঙের সুখ আছে, বেছে নিতে এসো সবে‌। দিতে হবেনা কোন কড়ি, নিবে মোর সুখকে হরি। ভবের হাটে শান্তি বিকিয়ে, অশান্তি সব উপার্জন করি। দু:খ-সুখের ফেরীওয়ালা হয়ে, আশা বেচি নিরাশার বিনিময়ে।

কাস্তে-কুলার বিজ্ঞানী

হেমন্তের নিমন্ত্রণ এসেছে নবান্নের ঘ্রাণে কৃষকের কাস্তে আর কৃষাণীর কুলার কারুকাজে। শিশিরে মুক্তো খোঁজে কবিকুল কবিতার চরণে চরণে সুবাস ছড়ায় শিশির সিক্ত শেফালি ফুল। যে কবির আঙুলের ছোঁয়ায়  ধূসর জমিন হয়ে যায় সোনার খনি নোবেল বিজয়ী কবিরাও আজ  তার কাছে ঋণী। পাথর সোনা হয় যে আল কিমিয়ার জ্ঞানে কাস্তে-কুলার বিজ্ঞানীরাও সে রসায়ন জানে। ছড়াকার: নবী…

কখনো তুমি!

রকিবুল ইসলাম তুমি কখনো বরষার অবারিত বারি,আবার কখনো তুমি প্রচন্ড দাবদাহেপ্রজ্জ্বলিত অগ্নিদাহ খরা।কখনো তুৃৃমি কনকনে শীতের হিমবহতা,আবার কখনো তুমি বসন্তের মিষ্টি হাওয়া।কখনো তুমি পড়ন্ত বিকেলের গোধূলী লগন,তেজস্বী রবির বিদায় বেলা।আবার কখনো তুমি দিবাভাগের অন্তিম মূহুর্তের রক্তিম গগন, পাখিদের নীড়ে ফেরার সন্ধিক্ষণ,রাতের নীল আকাশে তারা’দের অসারিবদ্ধ বিচরণ।কখনো তুমি জোঁনাকীর আলো, তুমি দৃষ্টির পিদিম, তুমি আলেয়ার আলো।তুমি…

কবিতা: বাঁচব মরণে

যাবে থেমে সব কোলাহল,নিভবে সাধের জীবন প্রদীপ!নামবে তমসাবৃত গাঢ় আঁধার,ছিনিয়ে নিবে আলো চোখের। থামবে সকল ব্যস্ততা যখন,সকল খরা ঘুচবে তখন।ঘনাবে তমসাবৃত গাঢ় আঁধার,লেনা দেনা মিটবে সকল। ছিন্ন হবে সকল বাঁধন,চাওয়া পাওয়ার হলোনা মিলন।ফিরবো না কভু আসবো না আর,অতি অসহায় এই ছিন্নমূল। কাঁদবে সকল বন্ধু স্বজন,করবে বিলাপ পরিবার পরিজন।হলোনা জীবনে বাঁচা যখন,“বাঁচব মরণে” সতত তখন।

রকিবুল ইসলামের কবিতা বাঁচবো মরণে