Friday, July 4
Shadow

Tag: কবিতা

মায়ের পরশ

মায়ের পরশ

কবিতা
আব্দুস সাত্তার সুমন  মায়ের পরশ মিষ্টি মিষ্টি ভীষণ ভালো লাগে, মায়ের আঁচল বুকের ভেতর অনুভূতি জাগে। মায়ের ঘ্রাণ শীতল করে মনের ভিতর ব্যথা, আদর মাখা হাতটি দিয়ে বুলায় যখন মাথা। আব্বু আম্মু বলে ডাকে আঁকড়ে ধরে যখন, মায়ার বাঁধনে জড়িয়ে রাখে শান্তি পাই তখন। পরশ দিয়ে আগলে রাখে পূর্ণ করে চাওয়া, মা হলে স্বর্গ মনি বেহেস্ত থেকে পাওয়া। মায়ের পরশ সবার সেরা তুলনা যে নাই, মায়ের মত এই জগতে পরশ কোথায় পাই?...
স্বাধীনতার তরে

স্বাধীনতার তরে

কবিতা
আসাদুজ্জামান খান মুকুল বাংলা আমার জন্মভূমি বাংলা আমার ভাষা, এই দেশেতে বসত করে মিটাই সকল আশা। আমার দেশে শাসন করে পাকশাসকে এসে, মায়ের ইজ্জত হরণ করে হত্যা করে শেষে। দীর্ঘ বছর করতে শাসন করে তারা ফন্দি, জুলুমবাজের অত্যাচারে বাংলা তখন বন্দি! মুখের ভাষা কেড়ে নিতে  পণ করে যে তারা, বাঙালি তাই প্রতিরোধে হচ্ছে পাগলপারা! বীরবাঙালি স্বাধীন হতে  অস্ত্র হাতে নিলো, বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে বিজয় এনে দিলো। যাঁদের ত্যাগে পেলাম আমরা স্বাধীন স্বদেশ ভূমি, শ্রদ্ধাতে হই মাথা নতো তাঁদের চরণ চুমি! স্বাধীনতায় খুশির বীণ আজ বাজে হৃদয় মাঝে! লাল সবুজের পতাকাটা উড়ে সকাল-সাঁঝে। বাংলা এখন স্বাধীনরাষ্ট্র  সকলেই তা মানে, স্বনির্ভর এক দেশ হিসাবে বিশ্ববাসী জানে। গ্রাম- সাভার  পোস্ট - হেমগঞ্জ বাজার  উপজেলা - নান্দাইল জেলা - ময়মনসিং...

বিরহী ফাগুন 

কবিতা
আসাদুজ্জামান খান মুকুল গগনে গগনে ফাগুনের বাণী  বাগানে ফুলের ডালি. সাথীহারা মনে শূন্যতা তবু রয়ে যায় এক ফালি। ফুলে ফুলে কতো সেজেছে ফাগুন  সুর ঝংকার বাজি, বিরহীর প্রাণ করে আনচান  সখা যে এলোনা আজি! পলাশ ফুলের রাঙ্গা আগুনে  পুড়ে দুখিনীর বুক, মৌ বনে অলি ফুলের বিহারে বেড়ে যায় আরো দুখ! রাখালের বাঁশি দূর মাঠে  বাজে কত সুমধুর সুরে, বিরহীর মনে বিষাদ লহরী  সখা আছে বহু দূরে! যার তরে কাঁদে সেই মথুরায় শুনেনি যে তার কথা, বসন্ত প্রেম ঝাপটিয়ে মরে বুঝাবে সে কারে ব্যথা! নান্দাইল, ময়মনসিংহ...

রঙিন স্পন্দন

কবিতা
তাসনিম মীম শীতের শুষ্কতা কাটিয়ে এলো নতুন পল্লব  কুঁড়ি ও ফুলের মেলা,   চারিদিকে আজ রঙ্গিন বসন্তের শোভা।  গাছে গাছে নতুন পাতা  শিমুল পলাশের লাল আভা, শিহরিত করে  মন কৃষ্ণচূড়ার ঐ লাল দোলনা।  বসন্ত মানেই জীবনের স্পন্দন  প্রকৃতির নবজাগরণ,  গান ও কবিতার মোড়ক উন্মোচন  ভালোবাসা ও কাঙ্খিত স্বপ্নের  যেন পুনরুজ্জীবন।  বসন্ত মানেই প্রকৃতির ক্যানভাসে রঙের ছোঁয়া,  জীবনের প্রতিটি কোনায় কোনায় নতুন আলোর আশা।  পলাশের আগুন আর কোকিলের গান,  সৌরভ আর মৃদুমন্দ বাতাসে  কবিতা ফিরে পায় নতুন প্রাণ। রং, গন্ধ, সুর আর স্পর্শ, বসন্ত যেন  জীবনের সবটুকু আনন্দের এক মহামিলনক্ষেত্র। কৃষ্ণচূড়ার মতো স্বপ্নগুলো হয়ে উঠুক রঙ্গিন  কোকিলের সুরের মতো প্রতিটা জীবন হোক সুরেলা এটাই...

সৌরভ বিলায়

কবিতা
মোঃ আশতাব হোসেন নব যৌবন প্রাপ্ত  জীর্ণ  বৃক্ষ বুড়া, আকাশে রং ছড়ায় পলাশ কৃষ্ণচূড়া। কোকিল ছড়িয়ে দেয় রাজ আসার বাণী, বৃক্ষ শাখে  ঘুরে ঘুরে  মিস্টি কুহু ধ্বনি। প্রকৃতির সদস্য শুনে আনন্দে দোল খায়, আঁচল ভরে বাতাস সৌরভ বিলায়। গ্রাম :ইসলামাবাদ, ডাকঘর বলদিয়া  ভূরুঙ্গামারী, কুড়িগ্রাম ...

জাগো নারী

কবিতা
শাহানাজ শিউলী  আঁধার ঘরে বন্দি হয়ে থাকবি তোরা আর কতকাল ওই উঠেছে পূর্ব দিকে টগবগিয়ে সুর্য লাল ,  আর কতকাল চলবি তোরা কষ্ট নিয়ে বক্ষ ভরে বুকের ভিতর আগুন জ্বালা থাকিস নারে চুপটি করে। কি হবে আর এমনি বেঁচে বাড়িয়ে দেহের আয়ুষ্কাল বুকের জ্বালা বাড়িয়ে দিয়ে বুনরে এবার স্বপ্নজাল,  ফাঁদ  পেতেছে ধর্মগুরু পিষ্ঠে দিতে যাতাকলে মুখোশটাকে দে রে খুলে ভিজিস নারে চোখের জলে।  একটি ভোরের আলসেমিতে গা ভাসিয়ে দিস না ঘুম  আঁধারেটাকে মাড়িয়ে  দিলে দেখবে সুদিন দিচ্ছে চুম। বস্তাপঁচা মিষ্টি কথায় সুজন সেজে আসবে কাছে জীবন -মরণ সন্ধিক্ষণে থাকবেনা কেউ তোর পাশে।  থাকতে সময় বুঝে নে রে তোর জীবনের হিসাব নিকাশ  উঁচু মাথায় বাঁচতে হলে করতে হবে জীবন বিকাশ।  জাগো নারী ভাসাও তরি জীবন যুদ্ধের নাব্যতায় জীবন বলির খড়গ হতে বাঁচত...

মা!

কবিতা
রকিবুল ইসলাম "মা"য়ের একফোঁট দুধের দাম,কাঁটিয়া গায়েরও চাম! পাপস বানাইলেও ঋণের শোধ হবেনা। এমন দরদী ভবে কেউ হবে না আমার মা-গো।" পৃথিবীর সকল "মা"কে জানাই আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে অজস্র,অপরিসীম,অকৃত্রিম,সুগভীর সন্মান ও শ্রদ্ধা। প্রসবকালীন সময়ে জন্মদাত্রী "মা"য়ের শরীর থেকে বের হওয়া প্রতিটি রক্তবিন্দু,প্রতিটি যন্ত্রণা,প্রতিটি বেদনার বিনিময়ে আজকের আপনি,আমি,আমরা। আমাদের স্বার্থেই "মা" হয়েছেন বীরাঙ্গনা। আমাদের তরেই বিলিয়ে দিয়েছেন তার দেহের এক,এক ফোটা দুগ্ধ বিন্দু,বিসর্জন দিয়েছেন সকল সাধ,আহ্লাদ, কামনা-বাসনা। নিজের সকল চাওয়া-পাওয়াকে দিয়েছেন বিসর্জন, করেছেন সন্তানের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা সদা।  ভুলেছেন নিজের মুখে খাবার তোলার কথা, দিয়েছেন তুলে খাবার আমাদের মুখে নিজে অভুক্ত থেকে "মা"। সন্তানের স্বার্থে তার জীবনটাই অকাতরে বিলিয়ে গেলেন যে "মা", ...

জীবনের অবসান!

কবিতা
রকিবুল ইসলাম আমি চেয়েছি হতে নিরুদ্দেশ, নিতে চেয়েছি ছুটি। চেয়েছি পালাতে জীবন থেকে, চেয়েছি অনন্তর-নিরন্তর মুক্তি। মিশতে চেয়েছি আকাশ-জমিনের মিলনস্হলে, ডুবতে চেয়েছি সাগর-নদীর মোহনায়। মিলিত হতে চেয়েছি ভূ-ত্বকের ধূলিকণায়, হারাতে চেয়েছি গগণের নীলিমায়। ঘণ-গাঢ় সবুজ বনানী ডাকে আমায়, দর্শণার্থে তার নিঝুম সৌন্দর্য!  ভীতসন্ত্রস্ত অসহায় আমার মননকে অনুপ্রেরণা যোগাতে অগ্রসর হয়ে আসে লক্ষ-কোটি জোনাকির সংঘ। অগণিত তারকারাজির মেলা অভ্যর্থনা জানায় আমাকে তার নীলাভ আলোর ঈষৎ আভায় স্নাত হতে, দখিনা হাওয়াও আমাকে মৃদু তৃপ্তি দিতে যোগ দেয় সেই সভাতে। ক্ষণিক আমাদে উদ্বেলিত করতে আমায় ডানা ঝাপটে উড়ে আসে প্রজাপতির দল! সহস্র ঝি ঝি পোকা গেয়ে উঠে,  হয়ে যায় গীতি শতদল। সবুজ দূর্বাঘাস বিছিয়ে দেয় গালিচা, হতে আমার চলার পথের সহা...

বাংলাদেশের রোজা

কবিতা
আব্দুস সাত্তার সুমন অন্য দেশের রমজান আসে ইবাদতের জন্য, বাংলাদেশে রমজান আসলে ব্যবসায়ীরা ধন্য। প্রথম দশদিন নিত্য পণ্যের ব্যবসায়ীদের হাতে, কাপড় ব্যবসাহী দ্বিতীয় দশক উসুল করবে তাতে। পরিবহন মালিকপক্ষ তৃতীয় দশক কেনা, দ্বিগুণ টাকায় টিকিট বেচে সিন্ডিকেটের সেনা। বাংলাদেশের রমজান আসে মজুদ করার জন্য, ডুপ্লিকেট আর কেমিক্যালে অস্বাস্থ্যকর পণ্য। সারা বছর লসের লাগাম ধরবে এই মাসে, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ছাড় দেয় না লাশে। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বাংলাদেশ...

যুদ্ধ চালাও কলমযোদ্ধা

কবিতা
আসাদুজ্জামান খান মুকুল যুদ্ধ চালাও কলম যোদ্ধা  যেথা অন্যায় ছল, ঝড় তুলে দাও অসন্তোষের দক্ষ বীরের দল। কাব্যধারার অগ্নিশিখায় পোড়ো শয়তান চেলা, ছারখার করো ভণ্ডামি আর ভাওতাবাজির খেলা! উৎপীড়কের দহন জ্বালায় যেথায় মানুষ কাঁদে, প্রলয় নৃত্য উঠাও সেথায়  ফেলতে পীড়ক ফাঁদে! তপ্ত লেখায় হোকনা ধরায় ধর্ষকের মান হানি, বজ্রের ন্যায়ে আঘাতটা তার মৃত্যুকে দিক্ আনি! তরুণ লেখক কলমযোদ্ধা  চালাও সবাই অসি, জালিম শাহের তামাম প্রাসাদ  যাক না লেখায় ধ্বসি! তোমরা লেখক জাগ্রত প্রাণ সদা নির্ভীক বীর ! ন্যায়ের পক্ষে উড়াও ঝাণ্ডা  ঊর্ধ্বে উঁচিয়ে শির! নান্দাইল, ময়মনসিংহ বিভাগ - ময়মনসিংহ।...