ভূতের ভয়
ধ্রুব নীল: অতীতের সোনালী দিনের স্মৃতিগুলো নাকের তিন নম্বর ফুটো দিয়ে অনায়াসে ফুরুৎ করে উড়িয়ে দিতে পারেন ভয়ানস্কি। তাই নতুন করে প্ল্যান করতে তার কষ্ট হয় না। আগে ছিলেন ভুতুড়ে প্রাইভেট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান। এখন হাউমাউ কোচিং সেন্টারের প্রধান ও একমাত্র শিক্ষক।
তিন জন ছাত্র। তিনটে বাচ্চা ভূত। চিকু বিকু নিকু। তারা এসেছে ভয় দেখানো শিখতে। মানুষকে ভয় দেখাতে না পারলে মা শাকচুন্নি তাদের খাওয়া বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ভয়ানস্কির ওপর তাই গুরুদায়িত্ব।
কুসুমপুর গ্রামের সুপ্রাচীন বটগাছের ঠিক মাঝ বরাবর একটা মোটা ডালের ওপরই গোটা ক্লাসরুম। একপাশে ভয়ানস্কির বসার মতো আরেকটা ডাল। তার পেছনে মিনি ডিজিটাল ডিসপ্লে। ভয়ানস্কির নিজস্ব আবিস্কার ওটা। ঐ ডিজিটাল যন্ত্রটার কারণেই ভয়ানস্কি তার বিজ্ঞাপনে লিখেছিলেন, ‘এখানে কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে ভয় দেখানো শেখানো হয়।’
রাত দশটা পার হত...









