সায়েন্স ফিকশন গল্প : বিরিন্তা

ধ্রুব নীলের সায়েন্স ফিকশন গল্প — বাংলা সন ১৪০১। পাঁচই ফাল্গুন। তৈয়ব আখন্দ বিব্রতকর অবস্থায় উঠোনে বসে আছে। হুরাসাগর নদীতে কী করে মরতে মরতে দশ কেজি সাইজের বোয়াল মাছ ধরেছে সেই গল্প শুনছিল হারু মাঝির কাছ থেকে। মাঝি চলে গেল। রেখে গেল নিরবতা। তৈয়ব গেল মেয়ের পড়ার টেবিলের দিকে। পুরো বাড়িতে বাপ-মেয়ে ছাড়া আর কেউ…

সাইকেলটা প্রতিদিন স্কুলে আসে

ধ্রুব নীলের কিশোর সায়েন্স ফিকশন গল্প স্কুলের উত্তরে পরিত্যক্ত একটা ক্লাসরুম। তার পেছনে জলাভূমি। সেখানে ধান চাষ হয়। মাঝে মাঝে বক-মাছরাঙা দেখা যায়। ভবনের ওই কোণাতেই দেয়ালে ঠেস দিয়ে পড়ে থাকে সাইকেলটা। পড়েই থাকে। ওতে চড়ে কে আসে, কেনই বা সেখানে পড়ে থাকে সাইকেলটা, কে জানে! কেউ জানার চেষ্টাও করেনি কোনোদিন। ক্লাস টেনের পপেল ছাড়া।পপেল…

সায়েন্স ফিকশন গল্প : ত্রুটি

অতিপ্রাকৃত সায়েন্স ফিকশন গল্পটি লিখেছেন ধ্রুব নীল এখন রাত দশটা। সকাল দশটা থেকে তরিকুলের মনে হচ্ছে কোথাও একটা বড় গণ্ডগোল আছে। গণ্ডগোলটা কী সেটা গত বারো ঘণ্টায়ও ধরতে পারেনি। সকাল দশটায় তরিকুল তার মুদিদোকানের শাটার খোলে। গ্রামের বাজারে তরিকুলের ছোটখাট মুদি দোকান। বেচাকেনা মাপমতো। দেরি করে দোকান খুললেও সমস্যা নেই। কাস্টমার হাসিমুখে দাঁড়িয়ে থাকে। সকাল…

পল্টু ফটিক ও ছেলিম মামার গল্প

ধ্রুব নীলের সায়েন্স ফটিক দৌড়াচ্ছে। মাঠ ঘাট খাল বিল পেরিয়ে দৌড়েই যাচ্ছে। পেছনে কুকুর তাড়া করলে যেভাবে দৌড়ায় সেভাবে। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য বেঁচে থাকলে লিখতেন, ফটিক ছুটেছে ফটিক, তাই ঝুম ঝুম ঘণ্টা বাজছে… যাই হোক, ফটিক যাচ্ছে তার বন্ধু পল্টুর কাছে। পল্টুর বাসা ফুলতলা গ্রামের একেবারে শেষ সীমায়। দৌড়ে না গেলে বেলা পড়ে যাবে। উঠোনে…

বিকেল পাঁচটার পর

ধ্রুব নীলের সায়েন্স ফিকশন গল্প ১ সামছুল করিম কলেজে বছর বিশেক হলো অংক পড়ান আবদুল মতিন। বয়স ষাটের কাছাকাছি। এখনো শক্তসমর্থ। হাঁটাহাঁটি করেন সারাদিন। একই কলেজের পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক নেপাল চন্দ্রের সঙ্গে জমে ভালো। দুজনই সমবয়সী। বহুদিনের বন্ধুত্ব। ক্লাসের ফাঁকে সময় পেলেই দুজন বিজ্ঞানের কঠিন কঠিন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। আবদুল মতিন অবশ্য পদার্থবিজ্ঞানের অনেক কিছু…