Wednesday, October 15
Shadow

কবিতা

Latest and evergreen Bangla poems and lyrics

নদী ও শূন্যতা

কবিতা
হাসান মাহমুদ নদী শুকিয়ে যায়, জেগে উঠে চর, শূন্যতার হাহাকার আমার ভিতর। নিঃশব্দ এখানে জোছনা ও জলের গান, হু হু করে কেঁদে উঠে বিরহির প্রাণ। জল হারালে যেমন মরে পাথারের আশ্রয়, বিরহী প্রাণের তেমনি হচ্ছে ক্ষয়। নদীর শূন্যতা করে হাহাকার— শুনতে কি পাও গভীরের সে চিৎকার? ঢেউয়ের মতো স্মৃতি আসে, আবার মিলায় দূরে, মনের ভেতর জাগে ব্যথা, করুন সেই সুরে। জোছনা ও জলের মিলন, জোয়ারে ভরে নদী, শান্ত হতো বিরহীর প্রাণ, ভালোবাসতে যদি। শুকনো নদী আমার মতো, বুকের ভেতর তারও ক্ষত, জোছনা-জলের মিলন হবে—বিরহ আমার অবিরত।।...
মন চায়

মন চায়

কবিতা
আব্দুস সাত্তার সুমন মন চায় দুরন্ত ঘোড়া হতেছুটে চলা বাতাসের মতো ছুটতে,মন চায় পাখির মত উড়তেউড়ন্ত পাখির মত ডানা মেলে ঘুরতে। মন চায় শীতল স্রোতে ভাসতেমন চায় প্রাণ খুলে হাসতে,মন চায় মেঠো পথে চলতেমন চায় প্রাণ খুলে বলতে। মন চায় আকাশের মেঘে ভাসিমন চায় অচিনপুরের থাকি দিবানিশি,মন চায় ফুলকে ভালোবাসিমনে চায় নাতিশীতোষ্ণ হতো বারোমাসি। মন চায় যুগ যুগান্তরে একই সাথে থাকিমন চায় শিশির ভেজা পরশ সকালে মাখি,মন চায় সুন্দরকে ধরে রাখিমন চায় প্রভু প্রেমে আমি শুধু ডাকি। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বাংলাদেশ...
এই যে দুনিয়া

এই যে দুনিয়া

কবিতা
      নার্গিস আক্তার  এই যে দুনিয়া কেউ কারো নয়। মিথ্যা এই দুনিয়া চলছে বাতাসে। মানুষ ঘুরতে বাতাসের তালে থাকিবে না বাতাস যেতে হবে দুনিয়া ছেড়ে। পড়ে রইবে মাটির ঐ অন্ধকার ঘরে। যাবেনা কিছু তোমারি সঙ্গে। পড়ে থাকবে তোমার দুনিয়াদারি। মাটির দেহ ধরবে ঘুনে পচে যাবে সারা শরীর। দেখিবে না কেউ থাকিবে না কেউ পাশে। এই যে দুনিয়া মিছা দুনিয়া সময় যাচ্ছে যে চলে ঘড়ির কাটার মতো। সময় থাকতে করো তোমরা দুনিয়াদারি। নার্গিস আক্তার  গোপালগঞ্জ, ইসলাম পাড়া বাংলাদেশ...
মায়ের পরশ

মায়ের পরশ

কবিতা
আব্দুস সাত্তার সুমন  মায়ের পরশ মিষ্টি মিষ্টি ভীষণ ভালো লাগে, মায়ের আঁচল বুকের ভেতর অনুভূতি জাগে। মায়ের ঘ্রাণ শীতল করে মনের ভিতর ব্যথা, আদর মাখা হাতটি দিয়ে বুলায় যখন মাথা। আব্বু আম্মু বলে ডাকে আঁকড়ে ধরে যখন, মায়ার বাঁধনে জড়িয়ে রাখে শান্তি পাই তখন। পরশ দিয়ে আগলে রাখে পূর্ণ করে চাওয়া, মা হলে স্বর্গ মনি বেহেস্ত থেকে পাওয়া। মায়ের পরশ সবার সেরা তুলনা যে নাই, মায়ের মত এই জগতে পরশ কোথায় পাই?...
স্বাধীনতার তরে

স্বাধীনতার তরে

কবিতা
আসাদুজ্জামান খান মুকুল বাংলা আমার জন্মভূমি বাংলা আমার ভাষা, এই দেশেতে বসত করে মিটাই সকল আশা। আমার দেশে শাসন করে পাকশাসকে এসে, মায়ের ইজ্জত হরণ করে হত্যা করে শেষে। দীর্ঘ বছর করতে শাসন করে তারা ফন্দি, জুলুমবাজের অত্যাচারে বাংলা তখন বন্দি! মুখের ভাষা কেড়ে নিতে  পণ করে যে তারা, বাঙালি তাই প্রতিরোধে হচ্ছে পাগলপারা! বীরবাঙালি স্বাধীন হতে  অস্ত্র হাতে নিলো, বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে বিজয় এনে দিলো। যাঁদের ত্যাগে পেলাম আমরা স্বাধীন স্বদেশ ভূমি, শ্রদ্ধাতে হই মাথা নতো তাঁদের চরণ চুমি! স্বাধীনতায় খুশির বীণ আজ বাজে হৃদয় মাঝে! লাল সবুজের পতাকাটা উড়ে সকাল-সাঁঝে। বাংলা এখন স্বাধীনরাষ্ট্র  সকলেই তা মানে, স্বনির্ভর এক দেশ হিসাবে বিশ্ববাসী জানে। গ্রাম- সাভার  পোস্ট - হেমগঞ্জ বাজার  উপজেলা - নান্দাইল জেলা - ময়মনসিং...

বিরহী ফাগুন 

কবিতা
আসাদুজ্জামান খান মুকুল গগনে গগনে ফাগুনের বাণী  বাগানে ফুলের ডালি. সাথীহারা মনে শূন্যতা তবু রয়ে যায় এক ফালি। ফুলে ফুলে কতো সেজেছে ফাগুন  সুর ঝংকার বাজি, বিরহীর প্রাণ করে আনচান  সখা যে এলোনা আজি! পলাশ ফুলের রাঙ্গা আগুনে  পুড়ে দুখিনীর বুক, মৌ বনে অলি ফুলের বিহারে বেড়ে যায় আরো দুখ! রাখালের বাঁশি দূর মাঠে  বাজে কত সুমধুর সুরে, বিরহীর মনে বিষাদ লহরী  সখা আছে বহু দূরে! যার তরে কাঁদে সেই মথুরায় শুনেনি যে তার কথা, বসন্ত প্রেম ঝাপটিয়ে মরে বুঝাবে সে কারে ব্যথা! নান্দাইল, ময়মনসিংহ...

রঙিন স্পন্দন

কবিতা
তাসনিম মীম শীতের শুষ্কতা কাটিয়ে এলো নতুন পল্লব  কুঁড়ি ও ফুলের মেলা,   চারিদিকে আজ রঙ্গিন বসন্তের শোভা।  গাছে গাছে নতুন পাতা  শিমুল পলাশের লাল আভা, শিহরিত করে  মন কৃষ্ণচূড়ার ঐ লাল দোলনা।  বসন্ত মানেই জীবনের স্পন্দন  প্রকৃতির নবজাগরণ,  গান ও কবিতার মোড়ক উন্মোচন  ভালোবাসা ও কাঙ্খিত স্বপ্নের  যেন পুনরুজ্জীবন।  বসন্ত মানেই প্রকৃতির ক্যানভাসে রঙের ছোঁয়া,  জীবনের প্রতিটি কোনায় কোনায় নতুন আলোর আশা।  পলাশের আগুন আর কোকিলের গান,  সৌরভ আর মৃদুমন্দ বাতাসে  কবিতা ফিরে পায় নতুন প্রাণ। রং, গন্ধ, সুর আর স্পর্শ, বসন্ত যেন  জীবনের সবটুকু আনন্দের এক মহামিলনক্ষেত্র। কৃষ্ণচূড়ার মতো স্বপ্নগুলো হয়ে উঠুক রঙ্গিন  কোকিলের সুরের মতো প্রতিটা জীবন হোক সুরেলা এটাই...

সৌরভ বিলায়

কবিতা
মোঃ আশতাব হোসেন নব যৌবন প্রাপ্ত  জীর্ণ  বৃক্ষ বুড়া, আকাশে রং ছড়ায় পলাশ কৃষ্ণচূড়া। কোকিল ছড়িয়ে দেয় রাজ আসার বাণী, বৃক্ষ শাখে  ঘুরে ঘুরে  মিস্টি কুহু ধ্বনি। প্রকৃতির সদস্য শুনে আনন্দে দোল খায়, আঁচল ভরে বাতাস সৌরভ বিলায়। গ্রাম :ইসলামাবাদ, ডাকঘর বলদিয়া  ভূরুঙ্গামারী, কুড়িগ্রাম ...

জাগো নারী

কবিতা
শাহানাজ শিউলী  আঁধার ঘরে বন্দি হয়ে থাকবি তোরা আর কতকাল ওই উঠেছে পূর্ব দিকে টগবগিয়ে সুর্য লাল ,  আর কতকাল চলবি তোরা কষ্ট নিয়ে বক্ষ ভরে বুকের ভিতর আগুন জ্বালা থাকিস নারে চুপটি করে। কি হবে আর এমনি বেঁচে বাড়িয়ে দেহের আয়ুষ্কাল বুকের জ্বালা বাড়িয়ে দিয়ে বুনরে এবার স্বপ্নজাল,  ফাঁদ  পেতেছে ধর্মগুরু পিষ্ঠে দিতে যাতাকলে মুখোশটাকে দে রে খুলে ভিজিস নারে চোখের জলে।  একটি ভোরের আলসেমিতে গা ভাসিয়ে দিস না ঘুম  আঁধারেটাকে মাড়িয়ে  দিলে দেখবে সুদিন দিচ্ছে চুম। বস্তাপঁচা মিষ্টি কথায় সুজন সেজে আসবে কাছে জীবন -মরণ সন্ধিক্ষণে থাকবেনা কেউ তোর পাশে।  থাকতে সময় বুঝে নে রে তোর জীবনের হিসাব নিকাশ  উঁচু মাথায় বাঁচতে হলে করতে হবে জীবন বিকাশ।  জাগো নারী ভাসাও তরি জীবন যুদ্ধের নাব্যতায় জীবন বলির খড়গ হতে বাঁচত...

মা!

কবিতা
রকিবুল ইসলাম "মা"য়ের একফোঁট দুধের দাম,কাঁটিয়া গায়েরও চাম! পাপস বানাইলেও ঋণের শোধ হবেনা। এমন দরদী ভবে কেউ হবে না আমার মা-গো।" পৃথিবীর সকল "মা"কে জানাই আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে অজস্র,অপরিসীম,অকৃত্রিম,সুগভীর সন্মান ও শ্রদ্ধা। প্রসবকালীন সময়ে জন্মদাত্রী "মা"য়ের শরীর থেকে বের হওয়া প্রতিটি রক্তবিন্দু,প্রতিটি যন্ত্রণা,প্রতিটি বেদনার বিনিময়ে আজকের আপনি,আমি,আমরা। আমাদের স্বার্থেই "মা" হয়েছেন বীরাঙ্গনা। আমাদের তরেই বিলিয়ে দিয়েছেন তার দেহের এক,এক ফোটা দুগ্ধ বিন্দু,বিসর্জন দিয়েছেন সকল সাধ,আহ্লাদ, কামনা-বাসনা। নিজের সকল চাওয়া-পাওয়াকে দিয়েছেন বিসর্জন, করেছেন সন্তানের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা সদা।  ভুলেছেন নিজের মুখে খাবার তোলার কথা, দিয়েছেন তুলে খাবার আমাদের মুখে নিজে অভুক্ত থেকে "মা"। সন্তানের স্বার্থে তার জীবনটাই অকাতরে বিলিয়ে গেলেন যে "মা", ...