Friday, July 4
Shadow

কিশোর গল্প

This section will contain stories for juvenile readers. এই বিভাগে থাকবে কিশোর বয়সীদের গল্প

স্বপ্নের সাইকেল

কিশোর গল্প
কয়েকদিন যাবৎ অঝোর বৃষ্টি গোটা শহর জুড়ে। মেঘাচ্ছন্ন আকাশ।কতদিন সূর্যের মুখ দেখা হয় না মনে নেই।পীনপতন নীরবতা বিরাজমান শহরের অলিগলিতে।এমন এক মখমলে দিনে আসিফ মুখ ভার করে বসে আছে।তার ভীষণ রকমের মন খারাপ।কারণ তার বাবা আবদার রাখেনি তার।আজ সেই প্রতীক্ষিত দিন যে দিনে বাবা তাকে সাইকেল কিনে দিবে বলেছিল।এই দিনের অপেক্ষায় সে কতো রাত নিদ্রাহীন থেকেছে।কিন্তু তার স্বপ্ন পূরণ হয়নি আজ। আসিফের বাবা রিক্সাচালক।ঢাকার রায়ের বাজারে দীর্ঘ ১৬ বছর সে রিক্সা চালায়।অসীম অভাব আর টানাপোড়নের মধ্য দিয়ে দুই সন্তানকে নিয়ে তার সংসার চলে যাচ্ছিল কোনোরকম।আসিফের একটা ছোট বোন আছে। তার নাম আফিয়া। আফিয়া তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। দুরন্ত স্বভাবের মেধাবী একজন মেয়ে। গত পরীক্ষা সে সেকেন্ড হয়েছে।সেজন্য তার প্রচুর মন খারাপ হয়েছিল।তাই এবার সে ভালোভাবে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করেছে।এবার তাকে ফার্স্ট হতে হবে। বিকেল পেরিয়ে সন...

গুলজার মামা ও মাজন সন্ন্যাসী 

কিশোর গল্প, হরর গল্প
জুয়েল আশরাফ  গুলজার মামা ভূত বিশ্বাস করেন না। কেউ ভূতুড়ে গল্প বললে তেতে ওঠেন। মামা একটা কোম্পানিতে ম্যানেজার পদে চাকরি করেন। অফিসের কেউ যদি তার সাথে ভূতের ভয়ানক কিছু বলেন, তাহলে মামা ভয় পান না। মামা বলেন, ভূত বলে কিছু নেই। এ সবই মানুষের মনের ব্যাপার। একদিন অফিসে বেশি কাজ থাকায় রাতে মামা বাড়ি ফিরছিলেন। বাইক নিয়ে আরাম করে বাড়ি ফেরার পথে, হঠাৎ নির্জন রাস্তায় বাইক বন্ধ হয়ে যায়। রাত অনেক হয়ে গেছে, এসময় কোনো দোকান খোলা থাকে না। বাইক ঠিক করতে পারবে না ভেবে টেনে নিয়ে হাঁটতে লাগলেন। কিছুদূর পৌছে দেখলেন বাসস্টপের কাছে মাজন সন্ন্যাসী বসে আছে। একসময় সে মাজন বিক্রি করত, তাই ওই নাম। ব্যবসায় লাভবান হয়নি, মাজন ব্যবসা ছেড়ে হালে সন্ন্যাসীর বেশভূষা ধরেছে। আজকাল কেউ আঙুলের মাথায় ছাইপাঁশ লাগিয়ে দাঁত মাজে না। সবাই এখন টুথপেষ্ট আর টুথব্রাশে অভ্যস্ত।  অনেকক্ষণ ধরে বাইক টেনে নি...

পল্টু ফটিক ও ছেলিম মামার গল্প

কিশোর গল্প, সায়েন্স ফিকশন
ধ্রুব নীলের সায়েন্স ফটিক দৌড়াচ্ছে। মাঠ ঘাট খাল বিল পেরিয়ে দৌড়েই যাচ্ছে। পেছনে কুকুর তাড়া করলে যেভাবে দৌড়ায় সেভাবে। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য বেঁচে থাকলে লিখতেন, ফটিক ছুটেছে ফটিক, তাই ঝুম ঝুম ঘণ্টা বাজছে… যাই হোক, ফটিক যাচ্ছে তার বন্ধু পল্টুর কাছে। পল্টুর বাসা ফুলতলা গ্রামের একেবারে শেষ সীমায়। দৌড়ে না গেলে বেলা পড়ে যাবে। উঠোনে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ জিভ বের করে হাঁফিয়ে নিল ফটিক। পল্টু দুপুরে ঘুমায়। লম্বা করে হাই তুলে বলল, পাগলা কুকুর তাড়া করেছে?ফটিক সূচনা ভূমিকায় না গিয়ে সোজা বর্ণনায় গেল।'মহাবিপদ হয়ে গেছে। মানে, বিশাল একটা ব্যাপার। ছেলিম মামা একটা জিনিস আবিষ্কার করেছে।'‘কী জিনিস রে! খাওয়া যায়? স্বাদ কেমন? মিষ্টি নিশ্চয়ই? সঙ্গে আছে?’‘আরে নারে! ছেলিম মামা অংক টংক করে বের করেছে, আমাদের এই গ্রাম আর আমরা সবাই একটা গল্পের ভেতর আছি। কাগজে ছাপা হওয়া গল্প। বুঝতে পারলি!’‘অ্যাঁ, বলছিস কী! আমি তুই গল্পের...
বিকেল পাঁচটার পর

বিকেল পাঁচটার পর

কিশোর গল্প, সায়েন্স ফিকশন
ধ্রুব নীলের সায়েন্স ফিকশন গল্প ১ সামছুল করিম কলেজে বছর বিশেক হলো অংক পড়ান আবদুল মতিন। বয়স ষাটের কাছাকাছি। এখনো শক্তসমর্থ। হাঁটাহাঁটি করেন সারাদিন। একই কলেজের পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক নেপাল চন্দ্রের সঙ্গে জমে ভালো। দুজনই সমবয়সী। বহুদিনের বন্ধুত্ব। ক্লাসের ফাঁকে সময় পেলেই দুজন বিজ্ঞানের কঠিন কঠিন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। আবদুল মতিন অবশ্য পদার্থবিজ্ঞানের অনেক কিছু না বুঝেও হাঁ হুঁ করে চালিয়ে যান। কঠিন আলাপের এক পর্যায়ে নেপাল চন্দ্র নিজেও খেই হারিয়ে মাথা দোলাতে দোলাতে চলে যান অন্য রুমে। ‘বুঝলি মতিন, সময় আমাদের চোখের সামনে থাকে। বয়ে যায়। কিন্তু আমরা সেটা বুঝতে পারি না। ধরতে পারি না। আমাদের মনে হয় ওটা একটা ফাঁকি। কিন্তু না। সময় জিনিসটা একেক জায়গায় একেক গতিতে চলে।’ ‘বিষয়টা আমার মুখস্থ। এই নিয়া পঁচানব্বইবার শুনছি।’ ‘না, ধর, সময় কোথাও আস্তে চলে, কোথাও দ্রুত। দুইটাকে পা...