Friday, July 4
Shadow

রোমান্টিক ছোটগল্প

Bangla Romantic Story collection free reading
Here are lots of free Bangla Romantic story and romantic golpo to read.

কৃ : রোমান্টিক ফ্যান্টাসি উপন্যাস

কৃ : রোমান্টিক ফ্যান্টাসি উপন্যাস

রোমান্টিক ছোটগল্প
ধ্রুব নীলের ফ্যান্টাসি রোমান্টিক উপন্যাস ১ পাশের বাড়ির ছাদে এক রূপবতী হেঁটে বেড়াচ্ছে এবং আমি তার দিকে নিষ্পলক তাকিয়ে আছি। মেয়েটাকে দেখে একবারও মনে হলো না যে আমার স্ত্রী রেশমা এ অবস্থায় আমাকে দেখলে দুচার কথা শুনিয়ে দেবে। মনে হলো মেয়েটার দিকে এভাবেই তাকিয়ে থাকতে পারবো। অনন্তকাল না হোক, আপাতত অফিস কামাই করা যায়। কারণ ছাদের মেয়েটা অবিকল লুনার মতো। অবিকল কথাটা বাড়িয়ে বলিনি। চোখ, কান বা নাকে নয় শুধু। যমজদের মতো হুবহু মিল! তবে একটা বড় কিন্তু আছে। যে কিন্তুটার জন্য আমার তাকিয়ে থাকার ধরনটা ছিল হ্যাংলা। মেয়েটা দেখতে অবিকল পনের বছর আগের লুনার মতো। এখনকার লুনার মতো নয়। মানে মেয়েটা যে লুনাই হতে পারে সেটাও সম্ভব নয়। কারণ লুনা মারা গেছে তের বছর আগে। সে ছিল আমার প্রথম প্রেমিকা। মহাবিশ্ব মানেই রহস্যের ছড়াছড়ি। ইলেকট্রনের দুই রকম আচরণ, কোয়ান্টাম এনটেঙ্গলমেন্ট, স্পেস-ট...
আলীকদম জিপ সার্ভিস

আলীকদম জিপ সার্ভিস

রোমান্টিক ছোটগল্প
মুহাম্মদ এলমুল বাহার : লম্বা পাহাড়ের পাশঘেঁষা বিলের মাঝে ৪টা সেমিপাকা ঘর। এই ৪টা ঘর নিয়েই এই বাড়িটা। বাড়ির পাশঘেঁষে সরু আইলের মতো একটা রাস্তা চলে গেছে। আইলের একপাশে জমিতে কলমি শাকের চাষ হয়েছে, অন্যপাশে ধান। সেই রাস্তা দিয়ে একটু হাঁটলেই আলীকদম পানবাজার। রাস্তার সাথে লাগানো ঘরটাতে চোখে চশমা দেওয়া, মুখভর্তি দাঁড়িওয়ালা হ্যাংলা করে যে ছেলেটা আছে তার নাম জাবির আর লম্বা করে গোলগাল চেহেরার মেয়েটা জোহরা। ওরা স্বামী-স্ত্রী, বিয়ে করেছে কয়েকমাস হলো। বছর দেড়েক প্রেম করে বিয়ে করে পালিয়ে এসেছে। শহরের বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে প্রেমনদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে এই পাহাড়ের কিনারায় এসে তরী ভিড়িয়েছে দু'জনে। তাদের ভালোবাসা দুই পরিবারের কোনো পরিবারই মেনে নেয়নি। মেনে নেবেই বা কেন? যে সমাজে কিনা প্রেম করা অন্যায় সেখানে তারা শুধু প্রেম করেই ক্ষান্ত হয়নি, নিজেদের ধর্ম ছেড়ে দুইজনেই চলে এসেছে ইস...
 বিনি সুতোর টান

 বিনি সুতোর টান

রোমান্টিক ছোটগল্প
সৈয়দুল মোস্তফা আজ সন্ধ্যার আকাশে ভীষণ মেঘ জমেছে । তার সাথে মৃদু বাতাসের আভা ছড়িয়েছে চারদিক । চাঁদ তখন আড়ালে এসে হালকা আকাশ ছুঁয়ে আবার মেঘের আড়ালে লুকিয়ে যাচ্ছে । এ এক অপূর্ব শ্রী বৃদ্ধি করেছে আজ । উঠনে চারদিক তখন কমলা ফুলের ঘ্রাণে মৌ মৌ করছে । কী  চমৎকার দিন আজ ! এই দিনের অপেক্ষায় কত জনের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে এই আকাশপুরী তা নিছক আড়াল রয়েছে । অন্তত আমার ঘুম আজ কেড়ে নিয়েছে তা ধ্রুব সত্য । আজ মনে হচ্ছে আপনার ভালোবাসায় মানে নিজের ভালোবাসা নিজে আয়ত্ত করতে পারলে একাকিত্বের ছায়া আমাদের মত বাসুক মনাদের অন্যের কাছে ভালোবাসাটা খোঁজা অনাবশ্যক । তা বলার একটায়  কারণ । আমি নিজে তা ভুগেছি । কারণ, আমি তখন জানতাম না ভালোবাসা মানে কি ? ...... ! তারপর আস্তে আস্তে বুঝেছি ভালোবাসা মানে হলো শ্রদ্ধা,বিসর্জন ও পাশে থাকা । তাই আজ প্রথম সেই প্রেমিকার কথা বড্ড মনে পড়ছে । যেদি...

কথার কথা

রোমান্টিক ছোটগল্প, সামাজিক গল্প
রকিবুল ইসলাম সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা, নয়নাভিরাম একটি গ্রামের নাম রূপপুর।শহর থেকে অদূরে অবস্থিত হলেও শহুরে সকল সুযোগ-সুবিধাই এখানে বিদ্যমান। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা একটু দুর্বল হলেও এখানকার জীবন যাত্রা বেশ ভালো। ঠিক এমনি একটি পরিবেশে ঠিক ৩৫ বছর পূর্বে এক মৎস্য ব্যবসায়ীর গৃহ আলোকিত করে শুভাগমন ঘটে একটি নির্মল,নিষ্কলঙ্ক, ফুটফুটে সাদা ফুল 🌹!কি বলে ডাকি তারে! আচ্ছা! আপাতত তার নাম হোক "কথা!" "কথা" তার ডাকনাম। গল্প কথার মতই কথা'র জীবন কাহিনী। যদিও,সাদা সদৃশ এক ফুলের ন্যায় তুষার শুভ্র সে। বাবা ইসমাইল আলী হাওলাদার ও মাতা সাহেরা বেগমের সর্ব জ্যৈষ্ঠ সন্তান, আদরের দুলালী এই কথা। বাবা-মা'য়ের ভালোবাসার প্রথম ফসল সে। ধীরে ধীরে বড় হতে লাগলো ছোট্ট কথা। শুভ্র সেই ফুলের মতই সুবাস ছড়াতে শুরু করলো তার চারিধারে। শৈশব, কৈশোরের গণ্ডি পেরুনোর পূর্বেই অনেক ভ্রমরই বসতে চেয়েছে এই ফুলে। আস্বাদন করতে চেয়েছে ...

রঙধনু বিকেলের স্বপ্ন।

রোমান্টিক ছোটগল্প
রকিবুল ইসলাম আজ ভোর হইতেই বর্ষা নামিয়াছে। ভারী বর্ষণ যাহারে বলিয়া থাকি তেমনটা নয় আর কি! কথার 🏠 গৃহ হইতে অফিস দুই কিলোমিটারের মত দূরত্ব হইবে। একখানি ছাতা লইয়া বৃষ্টি উপেক্ষা করিয়া কিছু দূর হাঁটিয়া তারপর একটা রিকশায় চাপিয়া সে আজ অফিসে আসিয়াছে। আকাশ অবশ্য রেইনকোট পরিয়া পায়ে হাঁটিয়াই অফিসে আসিয়াছে। আকাশের বাড়ি হইতে অফিসের দূরত্ব মাত্র আধা কিলোমিটার হইবে। আকাশ দূর হইতে কথাকে দেখিয়াই কহিল: সু-প্রভাত বৃষ্টিস্নাত মহারাণী!আহ্! এই প্রভাতের বৃষ্টি! আধ ভেজা শাড়িতে বর্ষা সিক্ত আপনি!বেশ ভালোই লাগিতেছে।আপনার গৃহ তো অফিসের সন্নিকটে তাই এমন কথা নি:সৃত হইতেছে মুখ হইতে: বলিল কথা। আমার মত দূর হইতে আসিলে বোঝা যাইত মহারাজের কি হাল! ঠিক আছে বাবা আমি পরাজয় বরণ করিলাম: আকাশের সরল সহজ স্বীকারোক্তি ও আত্মসমর্পণ। পরাজয় না মানিয়া কি উপায় আছে! আমি যে মহারাণী! আপনার মহারাণী:কথার অতি আত্মবিশ্বাসী উ...

ভালোবেসেছিলাম তারা

রোমান্টিক ছোটগল্প
রকিবুল ইসলাম যাবেন নাকি? কোথায়? চলুন না একটু ঘুরে আসি! কোথায় যাবেন? আপনি যেখানে নিয়ে যাবেন সেখানেই যাব।তবে,দেখবেন জায়গাটা যেন কোলাহল মুক্ত হয়। ঠিক আছে! মহারাণী'র আদেশ শিরোধার্য।এই আমাকে মহারাণী বললেন কেন? আমি আবার কবে আপনার মহারাণী হলাম? ভুল বুঝে থাকলে আমি দুঃখিত। কথা'র কথার উত্তর দিতে গিয়ে থমকালো আকাশ। কথা তার হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরেছিল যে! অনেক দূর এগিয়ে গেছে ঘটনা কিন্তু পাত্র পাত্রীর পরিচয় এখনো বলা হয়নি। কথা মহারাণী'র মত যার মেজাজ সে কিন্তু মোটেও মহারাণী বা সে ধরণের কিছু নয়। দরিদ্র মৎস্য ব্যবসায়ী পিতা ও পুরোদস্তুর গৃহিণী মাতার অতি আদরের দুলালী এই মহারাণী রুপী কথা। বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজন সকলেই তাকে এই নামে ডাকতেই পছন্দ করে। কথা'রও বেশ ভালোই লাগে! বেশ ভালোই চলছিল তাদের সংসার। সুখের ঘরে দু:খের আগুন হয়ে এল তার বাবার অকাল প্রয়াণ। কিশোরী কথা পরিবারের জৈষ্ঠ্য সন্তান হওয়ায...
বালক বেলার প্রেম!

বালক বেলার প্রেম!

রোমান্টিক ছোটগল্প
রকিবুল ইসলাম : আমি তখন সবে প্রাথমিকের গন্ডি পেরিয়ে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম।সময়টা ১৯৯৬ সাল হবে। আমার বিদ্যালয়ের নাম ছিল ক্রিসেন্ট প্রি-ক্যাডেট নার্সারি স্কুল। সহপাঠী হিসাবে পেয়েছিলাম বাবু,মিন্টু,শরিফুল,সোহাগ,রিয়াদ প্রমূখকে। গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যায়ন করা আমি অন্যান্য সহপাঠীদের সাথে সহজ হতে পারছিলাম না।অন্য ভাবে বলতে গেলে বলতে হয় তারাও ঠিক সহজভাবে মেনে নিতে পারেনি আমাকে।ষষ্ঠ শ্রেণীর প্রথম সাময়িকী পরীক্ষায় আমি তিনটি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়ে সকলের হাস্য-রসের খোরাক হয়েছিলাম। পরবর্তীতে অবশ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাগণের অকৃপণ সহযোগিতা, সহমর্মিতায় লেখা পড়ায় সফল হতে শুরু করি। ধীরে ধীরে সহপাঠীদের নিকটেও প্রিয়বৎসল হয়ে উঠতে লাগলাম।এরপর দ্বিতীয় সাময়িকী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলাম কোন মতে।অবশ্য বাৎসরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলাম মেধা তালিকায় দ্বিতীয় হয়ে। সপ্তম শ্রেণীতে পড়াকাল...

বোধ

জাদু-বাস্তবতা, রোমান্টিক ছোটগল্প
গত ছমাস ক্ষণিকা হাসপাতালে। কোনো কাজ নেই। দিনরাত শুধু শুয়ে থাকা। প্রথম কদিন বেশ খারাপ লেগেছিল। পরে সয়ে এসেছে। বিছানায় শুয়ে চোখ বুঁজে ভাবাটাই এখন তার কাজ। মাঝে মাঝে বদ্ধ পরিবেশটায় সবকিছু অসহনীয় মনে হয়। কিন্তু চোখ বুঁজলেই মনে হয় সামনে অসীম দিগন্ত। হাসপাতালে ছমাস। অথচ ক্ষণিকার স্বামী তাকে একবারও দেখতে আসেনি। ইশ্, অন্তুটা না জানি কী করছে! সামনের ডিসেম্বরে তিনে পা দেবে। এই সেদিন টুকটুক করে কথা বলা শিখেছে। বদ্ধ পরিবেশটায় থাকলে সময় বোধহয় দ্রুতই যায়। ইমতিয়াজ কি অন্তুকে ঠিকমতো সময় দিচ্ছে? সে নিজেই তো ভুলোমনা। ক্ষণিকা এ জন্য তাকে একটা নামও দিয়েছে, ‘ভুলু’। সন্তান ও স্বামীর কথা অনেক ভেবেছে ক্ষণিকা। প্রথম দিকে খুব অভিমান জন্মালেও এখন আর তা নেই। চোখ বন্ধ করে চাইলেই সে এখন অন্তুকে আদর করতে পারে। কেবল ঠিকমতো কথা বলতে পারে না। কিছু বলতে গেলেই গা ঝাঁকিয়ে দৌড়ে পালাবে। আপাতত ভাবার মতো...

চরণে ধরিয়া তব

রোমান্টিক ছোটগল্প
রোমান্টিক ছোট গল্প ‘চরণে ধরিয়া তব’ লিখেছেন ধ্রুব নীল। আপনার গল্প পাঠান এই ঠিকানায় news@matinews.com শুধু আমিই আমাকে বুঝতে পারি। মা-ও পারে না। সেখানে তমাল কোন ছার! তাকে বুঝতে দিলেও সে বুঝবে না। তমাল হলো খোলা বই। তরতর রিডিং পড়া যায়। সমস্যা হলো বইটায় থ্রিল নেই। ম্যাড়ম্যাড়ে কয়েকটা ছোটগল্প বড়জোর। তমালের ফোনে ব্রাউজার হিস্ট্রি ডিলিট করার অ্যাপ দেখেছি। কথা বলার সময় মিনিটে চোখ কতবার কোন দিকে যায়, আর সেটার পেছনে যে মনস্তত্ত্ব লুকিয়ে থাকে, সেটা একটা সফটওয়্যারও ধরে ফেলবে। আমার চোখের কঠিন ফেস রিকগনিশন সে ফাঁকি দেবে কী করে! লুকিয়ে এটা সেটা দেখলে দেখুক। প্রেম করার জন্য লুতুপুতু মার্কা সেজে বসে থাকাটা যে কাজের জিনিস নয়, এই ভুল তার ভাঙতে হবে। বিশ্বাস করুন, ভালো মানুষিগিরির চেয়ে বিরক্তিকর আর কিছু নেই আমার অভিধানে। আমি আমার মতো। ভালো মানুষ ভালো হোক, খারাপ মানুষ খারাপগিরি করুক। আমি থা...

পড়ন্ত বিকেলের প্রেম

রোমান্টিক ছোটগল্প
কবির কাঞ্চন চেয়ারে পিঠ ঠেকে চোখদুটো বন্ধ করে দাঁতে দাঁত কাটতে লাগলেন সোহান চৌধুরী। এ প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেছেন প্রায় তিন মাস হয়ে গেছে। তবু সবকিছু নিজের মতো করে চালিয়ে নিতে বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন। তবে কী তিনি কোনো ভুল পথে হাঁটছেন? তিনিই এখানকার সর্বেসর্বা। তার কথা সবার কাছে হুকুমের মতো। ইত্যাদি ভাবতে ভাবতে মুখে বিড়বিড় করেন, “না, না, আমাকে কোমল হলে চলবে না। অধীনস্থদের দৌড়ের ওপর না রাখতে পারলে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করা সম্ভব হবে না। তাছাড়া এখানে যারা কর্মরত রয়েছে তারা সবাই নিজ নিজ শাখায় প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছে। এদের ছাড় দিলে আমার নিজের দুর্বলতা ওদের সামনে ধরা পড়ে যেতে পারে। তাই যে যাই বলুক আমাকে কঠোর হতে হবে।” এরইমধ্যে নিঃশব্দে তার কক্ষে ঢুকে পড়েন জুলি ম্যাম। স্যারকে একাকী বিড়বিড় করতে দেখে খুসখুস কেশে বললেন, - স্যার, কিছু বলছেন? সোহান চৌধুরী সোজা হয়ে বসে জুলি ম্যা...