Saturday, December 13
Shadow

Author: webgolpo2024

যুদ্ধ চালাও কলমযোদ্ধা

কবিতা
আসাদুজ্জামান খান মুকুল যুদ্ধ চালাও কলম যোদ্ধা  যেথা অন্যায় ছল, ঝড় তুলে দাও অসন্তোষের দক্ষ বীরের দল। কাব্যধারার অগ্নিশিখায় পোড়ো শয়তান চেলা, ছারখার করো ভণ্ডামি আর ভাওতাবাজির খেলা! উৎপীড়কের দহন জ্বালায় যেথায় মানুষ কাঁদে, প্রলয় নৃত্য উঠাও সেথায়  ফেলতে পীড়ক ফাঁদে! তপ্ত লেখায় হোকনা ধরায় ধর্ষকের মান হানি, বজ্রের ন্যায়ে আঘাতটা তার মৃত্যুকে দিক্ আনি! তরুণ লেখক কলমযোদ্ধা  চালাও সবাই অসি, জালিম শাহের তামাম প্রাসাদ  যাক না লেখায় ধ্বসি! তোমরা লেখক জাগ্রত প্রাণ সদা নির্ভীক বীর ! ন্যায়ের পক্ষে উড়াও ঝাণ্ডা  ঊর্ধ্বে উঁচিয়ে শির! নান্দাইল, ময়মনসিংহ বিভাগ - ময়মনসিংহ।...
লালুর খাবার

লালুর খাবার

কিশোর গল্প
কবির কাঞ্চন অমল বাবু স্ত্রী-পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে বের হলেন। এমুহূর্তে তাদের লক্ষ্য একটাই-রাত আটটার মধ্যে নাসিরাবাদ কাচ্চি ডাইনে পৌঁছা। গত কয়েকদিন ধরে স্ত্রী-পুত্র তাকে কাচ্চি ডাইনে যাবার জন্য রীতিমতো পাগল করে ছাড়ছিল। আজ অফিস থেকে বাসায় ফিরে এসে দিলীপের মুখের দিকে তাকাতেই সে বাবার কাছে বায়না ধরে,: আব্বু, আমরা কাচ্চি ডাইনে যেতে চাই। এই মাস তো প্রায় শেষ হতে চলেছে। আমাদেরকে কাচ্চি ডাইনে খাওয়াতে নেবে না?অমল বাবু দিলীপকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললেন,: অবশ্যই নেবো, বাবা। মন খারাপ করো না। যাও, তোমার আম্মুকে রেডি হতে বলো। আমরা এখনই কাচ্চি ডাইনে যাব। বাবার মুখ থেকে যাবার অনুমতি পেয়ে দিলীপ আনন্দে বাবার গালে চুমু খেয়ে একদৌড়ে মায়ের কাছে ফিরে আসে। পূজা রাণী ছেলেকে এমন আনন্দিত হতে দেখে জিজ্ঞেস করলেন,: কীরে বাবা, তোর আবার কী হয়েছে? তোকে যে খুশি খুশি লাগছে।: আম্মু, তাড়াতাড়ি রেডি হও। আব্বু কাচ্চি ডাইনে যেতে ...
খরগোশের বিয়ে

খরগোশের বিয়ে

কিশোর গল্প
ফারুক আহম্মেদ জীবন ঘন- কুয়াশায় ঘেরা শীতের সকাল। নয়ন আজ মাঠে গেছে ও বাবার সাথে খেতের সিম তুলতে। সিমের বান থেকে সিম তুলছে নয়ন। সেসময় হঠাৎ! ওর সামনে দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে গেল একটা খরগোশ। নয়ন খরগোশটাকে ধরার জন্য পিছনে ছুটলো। কিন্তু চোখের পলকেই যেনো মুহুর্তে হারিয়ে গেলো খরগোশটি। খরগোশ খুঁজে না পেয়ে মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেল নয়নের। সে এদিক-সেদিক খরগোশটির সন্ধান করতে লাগলো।  হঠাৎ! ঝোপঝাড়ের মধ্যে চোখ যেতেই সে ছোট্ট একটা খরগোশ ছানা দেখতে পেল।ছানাটি তার কুচিকুচি দাঁত দিয়ে বেশ আয়েশ করে চোয়াল নেড়ে-নেড়ে মুরুব্বীদের পান চাবানোর মতো কি যেনো চিবিয়ে খাচ্ছে। আর বিড়বিড় করে তাকাচ্ছে নয়নের দিকে। খরগোশ ছানাটিকে দেখে নয়নের চোখে মুখে যেনো মুহুর্তে খুশির ঝলক ফুটে উঠল। সে দেরি না করে একটু আড়ালে গিয়ে। পা-টিপে টিপে চুপি সারে গিয়ে ঝপাৎ করে খরগোশ ছানাটিকে ধরে ফেললো। আনন্দের যেনো শেষ নেই নয...

রকিবুল ইসলামের কয়েকটি কবিতা

কবিতা
সাথীহীন! কোন অভিযোগ করিনি কভু, রাখিনি কোন অনুযোগ তব তরে। বেসেছিনু শুধুই ভালো, পাইনি,চাইনি তার প্রতিদান। শত অভিমানেরা নেই তবু, প্রশ্নরা সকলি আজি গিয়েছে বিফলে। নিভেছে প্রদীপের আলো, চাওয়া-পাওয়ারা নেই এখন। দু:খের ছোঁয়া পেয়েছি শুধু, ছুটিনি যদিও নব জীবনের খোঁজে। স্বপ্নরা ছিল অগোছালো, তথাপি চলেছি পথ ভয়-ডরহীন। দু:খ আমার প্রিয় বন্ধু, সুখ যে আসেনি আদৌ মোর দ্বারে। পাইনি খোঁজ আজো, জীবনের নিয়মে চলিছে জীবন। মহাকালের কোন এক ক্ষণে!! মহাকালের কোন এক ক্ষণে! থেমে যাবে সব কোলাহল। বইবে না স্রোতস্বিনী তটিনী, উন্মুক্ত হবে স্মৃতির কপাট। মহাকালের কোন এক ক্ষণে! থমকাবে জীবনের সব আয়োজন। ডাকবেন প্রভু ওপারে যেতে, চলে যাব, মানবোনা পিছুটান। মহাকালের কোন এক ক্ষণে! নিভে যাবে জীবন প্রদীপ। যম রাত্রি আসবে ভূমে, আমায...

সোনার মেয়েরা

ছড়া
সাঈদুর রহমান লিটন  অনেক কষ্টের মধ্যে একটু সুখ সাফ কী খেলা খেলল তারা ওরে বাপরে বাপ। এমন করেই  হত যদি সারাক্ষণ  কর্পূর হয়ে যায় উড়ে দুঃখ ভরা মন। এমন করে খেলা খেলে দিও একটু সুখ, সুখের আশায় পেতে থাকি পুড়া একটা বুক। জানোই তো তোমরা আমরা একটুও ভাল নেই নেশার ঘোরে চলছি যেন হারিয়েছি খেই। তোমরা শুধু নওকো মেয়ে হীরে মানিক মুক্তো এই দেশটারে সুখ সাগরে করে দিছো যুক্ত। এমনি করে যাও এগিয়ে দেশের ধরো হাল, বালামুসিবত দূর হয়ে যাক সুখী হোক চিরকাল।  গ্রামঃ জগন্নাথদী পোঃ ব্যাসদী গাজনা  উপজেলাঃমধুখালী, জেলাঃ ফরিদপুর ...

আকাশের পাখিরা

কিশোর গল্প
আলমগীর কবির  আকাশ পাখি ভালোবাসে।পাখিদের জন্য ওর মনে অনেক মায়া।ওদের বাসায় অনেক পোষা কবুতর আছে। আকাশ একটু অবসর পেলেই ছুটে যায় কবুতরগুলোর কাছে। খাবার দেয়। জল দেয়। গল্প করে সময় কাটায় তাদের সাথে।  কবুতরগুলোও কত সুন্দর। মায়াবী! কিন্তুু কেন এতো ভালোবাসে  সে পাখিদের?  তার গল্প আছে একটা। তখন সে ক্লাস ফোরে পড়ত।বাবাকে বলে দুইটি ঘুঘু পাখি কিনে নিয়েছিল পোষার জন্য। অনেক যত্ন করত সে পাখি দুটির।তবু একটি পাখি এক ঝড়ের রাতে মারা যায়। আকাশের মনে অপরাধ বোধ কাজ করে তারপর থেকে।  অন্য পাখিটিকে সে সেদিনেই মুক্ত করে দিয়েছিল। সেই থেকে পাখিদের প্রতি তার বড় বেশি মায়া।  আকাশ তাদের উঠোনে বসে আছে। উঠোনের পাশে সারি সারি খেজুরের গাছ।খেজুরের রস খেতে বুলবুলি, শালিক পাখিরা ছুটোছুটি করছে। একটু দূরে নারকেল গাছে কাকদের আনাগোনা।  আকাশ মায়ের কাছ থেক...
 বিনি সুতোর টান

 বিনি সুতোর টান

রোমান্টিক ছোটগল্প
সৈয়দুল মোস্তফা আজ সন্ধ্যার আকাশে ভীষণ মেঘ জমেছে । তার সাথে মৃদু বাতাসের আভা ছড়িয়েছে চারদিক । চাঁদ তখন আড়ালে এসে হালকা আকাশ ছুঁয়ে আবার মেঘের আড়ালে লুকিয়ে যাচ্ছে । এ এক অপূর্ব শ্রী বৃদ্ধি করেছে আজ । উঠনে চারদিক তখন কমলা ফুলের ঘ্রাণে মৌ মৌ করছে । কী  চমৎকার দিন আজ ! এই দিনের অপেক্ষায় কত জনের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে এই আকাশপুরী তা নিছক আড়াল রয়েছে । অন্তত আমার ঘুম আজ কেড়ে নিয়েছে তা ধ্রুব সত্য । আজ মনে হচ্ছে আপনার ভালোবাসায় মানে নিজের ভালোবাসা নিজে আয়ত্ত করতে পারলে একাকিত্বের ছায়া আমাদের মত বাসুক মনাদের অন্যের কাছে ভালোবাসাটা খোঁজা অনাবশ্যক । তা বলার একটায়  কারণ । আমি নিজে তা ভুগেছি । কারণ, আমি তখন জানতাম না ভালোবাসা মানে কি ? ...... ! তারপর আস্তে আস্তে বুঝেছি ভালোবাসা মানে হলো শ্রদ্ধা,বিসর্জন ও পাশে থাকা । তাই আজ প্রথম সেই প্রেমিকার কথা বড্ড মনে পড়ছে । যেদি...

জন্মভূমির মাটি

সামাজিক গল্প
ফারুক আহম্মেদ জীবন  পার্বত্য চট্টগ্রামের বাসিন্দা জহির রহমান আর মালতী বেগমের এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলের নাম জিতু। বছর সাতেক বয়স হবে তার। এবছর কেজি স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ছে জিতু। মেয়েটা ছোট নাম মিতু। চার বছর মতো বয়স মিতুর। প্রতিদিন সন্ধ্যার পরে রাতে জিতু কিছু সময় ওর মায়ের কাছে বই পড়তে বসে। মিতুও আদর্শলিপি বই থেকে বাংলা স্বরবর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণ অ, আ, ক, খ অক্ষর গুলো পড়ে।এরপর পড়া শেষ হলে ওদের আব্বু জহির রহমান বাজার থেকে বাড়ি ফিরলে একসাথে সবাই মিলে রাতের খাবার খায়। আজ জিতুর পড়া শেষ হলেও তখনো ওদের আব্বু জহির রহমান বাড়ি ফেরেনি।মেয়ে মিতু বললো, আম্মু, আব্বু কখন বাড়ি আসবে? মা, মালতী বেগম বললো. এইতো এখুনি আসবে মা মিতু। জিতু বললো মা, আব্বু না আসা পর্যন্ত তাহলে একটু টিভি দেখি? মালতী বেগম বললো..আচ্ছা ঠিক আছে বাবা..। তারপর মালতী বেগম সময় কাটানোর জন্য রিমোটে চাপ দিয়ে টিভি-টা ওয়া...

দু:খ-সুখের ফেরিওয়ালা

কবিতা
রকিবুল ইসলাম দু:খ-সুখের ফেরী করি, কষ্ট,দুঃখ বিকি কিনি। ভুবন মাঝের হাট-বাজারে, সুখকে বেচে দুঃখ কিনি। নানান রঙের সুখ আছে, বেছে নিতে এসো সবে‌। দিতে হবেনা কোন কড়ি, নিবে মোর সুখকে হরি। ভবের হাটে শান্তি বিকিয়ে, অশান্তি সব উপার্জন করি। দু:খ-সুখের ফেরীওয়ালা হয়ে, আশা বেচি নিরাশার বিনিময়ে।

কাস্তে-কুলার বিজ্ঞানী

ছড়া
হেমন্তের নিমন্ত্রণ এসেছে নবান্নের ঘ্রাণে কৃষকের কাস্তে আর কৃষাণীর কুলার কারুকাজে। শিশিরে মুক্তো খোঁজে কবিকুল কবিতার চরণে চরণে সুবাস ছড়ায় শিশির সিক্ত শেফালি ফুল। যে কবির আঙুলের ছোঁয়ায়  ধূসর জমিন হয়ে যায় সোনার খনি নোবেল বিজয়ী কবিরাও আজ  তার কাছে ঋণী। পাথর সোনা হয় যে আল কিমিয়ার জ্ঞানে কাস্তে-কুলার বিজ্ঞানীরাও সে রসায়ন জানে। ছড়াকার: নবী হোসেন নবীন , গ্রাম-বাঁশিল,ডাকঘর-কাঠালী উপজেলা-ভালুকা,ময়মনসিংহ...