Monday, December 1
Shadow

Author: webgolpo2024

বুদ্ধির রাজা

ছড়া
-এম. আব্দুল হালীম বাচ্চু শমসের মিয়া বুদ্ধির রাজাকথায় কথায় বলেঅহংকারে নেচে নেচেভেংচি কেটে চলে!এটা জানে ওটা জানেসেলিব্রিটি যেন,মাঝে মাঝে ভেবে মরিএত বুদ্ধি কেন! নিজের বেলায় ষোলোআনাশূন্য পরের বেলায়আবার দেখি মেতে ওঠেছলচাতুরী খেলায়!কথার জালে দেয় ফাঁসিয়েটের পাওয়া যায় পরেনষ্ট বুদ্ধি সাজানো তারমাথার স্তরে স্তরে! হাসি দিয়ে দেয় গলিয়েইচ্ছে যখন হয়হাসির অর্থ বোঝার পরেলাগে ভীষণ ভয়!বুদ্ধির জোরে অনেককিছুইকরতে থাকে দাবিসরল মনে আমরা তবুকুটুম-কুটুম ভাবি! ভালো সেজে এমন মানুষঘুরছে অনেকেইঘুরতে ঘুরতে কেটে পড়েস্বার্থ ফুরালেই! ঠিকানা: কাচারীপাড়া পাবনা- ৬৬০০...

নারী দিবসের ছড়া: নারীর সম্মান 

ছড়া
বিজন বেপারী   জন্ম তোমার আরব নেপাল  এই পৃথিবীর মাঝে  দেখছো আলোক নয়নাভিরাম  কৃতিত্ব কার? মা যে। তুমি আর আমি মায়ের কোলে যে জন্ম থেকেই আছি দশ মাস দশ দিন, কত ব্যথা  মায়ের কৃপায় বাঁচি। তিনিই আসল বিধাতা তোমার  আল্লাহ ভগবান  তিনিই আবার নারী শক্তির দূর্গা মূর্তিমান। নারীদের তাই সম্মান দেই পথে ঘাটে হাটখোলা  নতুবা বেইমান তুমি যে রবে অসভ্য এক পোলা। বিজন বেপারী , ঝালকাঠি সদর, ঝালকাঠি ...

ফাগুন দিনে

ছড়া
আসাদুজ্জামান খান মুকুল  আসছে ফাগুন লাগছে আগুন  শিমুল পলাশ ডালে, সখী ছাড়া আমি সারা এমন ফাগুন কালে! ফুটিছে ফুল প্রকৃতি কুল লাল হয়েছে দূরে, কোকিল ডাকে বিটপশাখে কুহু কুহু সুরে। ফুটছে কলি উড়ছে অলি গুণগুণে গান করে, বিহার করে ফুলের পরে  দেখি নয়ন ভরে। দখিনা বায় উতলা হায় করছে পরানখানি, এমন ক্ষণে নাই যে সনে আমার মনের রানি। আমার প্রিয়া মনটি নিয়া কোথায় গেলি শেষে ? ভালোবাসা করো খাসা ফাগুন দিনে এসে! গ্রাম- সাভার  পোস্ট - হেমগঞ্জ বাজার  উপজেলা - নান্দাইল জেলা - ময়মনসিংহ ...

বাংলাদেশের রোজা

কবিতা
আব্দুস সাত্তার সুমন অন্য দেশের রমজান আসে ইবাদতের জন্য, বাংলাদেশে রমজান আসলে ব্যবসায়ীরা ধন্য। প্রথম দশদিন নিত্য পণ্যের ব্যবসায়ীদের হাতে, কাপড় ব্যবসাহী দ্বিতীয় দশক উসুল করবে তাতে। পরিবহন মালিকপক্ষ তৃতীয় দশক কেনা, দ্বিগুণ টাকায় টিকিট বেচে সিন্ডিকেটের সেনা। বাংলাদেশের রমজান আসে মজুদ করার জন্য, ডুপ্লিকেট আর কেমিক্যালে অস্বাস্থ্যকর পণ্য। সারা বছর লসের লাগাম ধরবে এই মাসে, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ছাড় দেয় না লাশে। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বাংলাদেশ...
দখলদার কুকুরের গল্প

দখলদার কুকুরের গল্প

কিশোর গল্প
কবির কাঞ্চন : ক'দিন ধরে বনের এককোণে বসে বসে কাঁদছে একটি বিড়াল। সময় যতই গড়াচ্ছে তার কান্নার আওয়াজ ততই বাড়ছে। বিড়ালটির এমন বিলাপ করে কান্না দেখে বনের পশুপাখিদের খুব মায়া হয়। তাদের মধ্য থেকে কেউ কেউ কাছে গিয়ে সান্ত্বনা দিতেও ভুল করে না। কিন্তু বিড়ালের সব ঘটনা জানার পর সবাই যার যার মতো করে আফসোস করে। বিড়ালের জন্য দোয়া করে। তারপর নিজেদের গন্তব্যে চলে যায়। আর বিড়ালটি সকাল দুপুর রাতে শুধু কান্না করে। কিছুদিন যেতে না যেতে বিড়ালটির কান্নার আওয়াজ আরও তীব্রতর হয়ে ওঠে। ইতোমধ্যে বিড়ালটির পাশে দুটি বাচ্চা বিড়াল এসে যোগ হয়। তারাও কান্না করতে থাকে। তাদের দু'জনের গা থেকে অনবরত রক্ত ঝরছে। একদিন সেপথ দিয়ে অন্য একটা বিড়াল যাচ্ছিল। সে পাশের বনে থাকে। এ বনে বেড়াতে এসেছে। স্বজাতিদের একজনের এমন দুরাবস্থা দেখে তার খুব মায়া হলো। সে বিড়াল ও বাচ্চা বিড়ালগুলোর পাশে বসে সমব্যথী হয়ে জিজ...
ছোটন ও কাক

ছোটন ও কাক

কিশোর গল্প
ইমরান চৌধুরী : ছোটন, ছোটন। কেউ যেন ডাকছে তাকে এই ভেবে পেছনে ফিরে তাকাল ছোটন। এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখতে পেল তার পেছনে পেছনে একজন বয়স্ক লোক হেঁটে আসছে। লোকটাকে দেখে তাঁর মুখের দিকে তাকাল ছোটন। না, লোকটা চেনা জানা মনে হচ্ছে না। তবু সালাম দিয়ে জানতে চাইল, আপনি কি আমাকে ডাকছেন? লোকটা ছোটনের মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, কই নাতো দাদু! বলে লোকটা হাঁটা শুরু করল। দাদু শব্দটা ছোটনের খুব প্রিয়। হয়তো বা উনি কারও দাদু হবেন। লোকটার সঙ্গে দু-চারটা কথা বলার খুব ইচ্ছে হচ্ছিল তার। কিন্তু সে সুযোগ হলো না। কী আর করা লোকটার পেছনে পেছনে ছোটনও শুরু করল হাঁটা। প্রতিদিন এ সময়ে ছোটন স্কুলে যায়। সে এখানকার নামকরা স্কুল ‘ওয়ান্ডার’ এর প্রভাতী শাখার ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র। সকাল ৭-২৫ মিনিটে তাদের ক্লাস। সময়টা মাথায় রেখে সে হাঁটতে থাকে। কিছুটা পথ যাওয়ার পর আবার শুনতে পেল ‘ছোটন ছোটন’ ডাক। আবার পেছনে ফিরে তাকাল ছ...
ব্যাঙের মানিক

ব্যাঙের মানিক

কিশোর গল্প
আমজাদ ইউনুস : আবিদ।  বয়স সবেমাত্র সাত বছর হয়েছে। দূরন্ত ও  চঞ্চল স্বভাবের ছিল।  সারাদিন খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকত। লাগামহীন জীবন। কোন কিছুর নির্দিষ্ট সময় নেই। যখন যা খুশি যখন যা ইচ্ছে করত। সারাদিন খেলাধুলা করে সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরত । আম্মু মুখ-হাত ধুয়ে  দিয়ে ঘরে নিয়ে যেতেন । কিছু খেয়ে বাংলা অক্ষরের সাথে একটু একটু পরিচয় হত। কিছুই বুঝত না। যা শিখানো হত তা তোতা পাখির মত মুখস্থ করে নিত । আবিদের পড়ালেখা ভাল্লাগে না। সারাদিন খেলতে ইচ্ছে করে। সুযোগ পেলেই সারাদিম বনবাদাড়ে ঘুরত। ফড়িংয়ের পিছু পিছু দৌড়তে দৌড়তে ক্লান্ত হয়েই সবুজ গাছে একটু জিরিয়ে নিত। ফড়িং মেরে মেরে পিঁপড়াদের দাওয়াত দিত। দল বেধে পিঁপড়া ফড়িং খেতে আসত। আবিদ পিঁপড়ার সারির দিকে থাকিয়ে দেখত। বড্ড মজা পেত।  কত মিল পিঁপড়াদের মাঝে। এক সারিতে সমানভাবে পথ চলে। একটু এদিক সেদিক হয়না। মাঝে মধ্যে ...

নিঃসঙ্গ শালিক 

কিশোর গল্প
ওলি  মুন্সী : ছোট্ট খুকি আয়েশা। বাবা মায়ের খুব আদরের কন্যা।পড়াশোনায় যেমন মনোযোগী তেমনি খেলাধুলায়। আয়েশার খেলার প্রিয় জায়গা হলো বারান্দা আর উঠুন। একাকী কখনো সে বাড়ির বাহিরে খেলতে যায়না। কারণ বাড়ির বাহির বাচ্ছাদের জন্য নিরাপদ নয়।আয়েশাদের বাড়ির চারপাশে বিভিন্ন রকমের গাছ।গাছে গাছে নানান জাতের পাখি সকাল বিকাল মুখরিত করে।পাখিদের রব আয়েশার খুব ভালো লাগে। তাই পাখিদের খুব ভালবাসে। আয়েশা তার বাবা মা'য়ের কাছ থেকে পাখিদের নাম শিখে নেয়।তারা কেমন করে উড়ে, কোথায় যায় কিভাবে খাবার আহরণ করে। পাখির ছানাদের কিভাবে মা পাখিরা আগলে রাখে।আয়েশা তার বাবার ছেলেবেলার একটা গল্প শুনেছে শালিক পাখি নিয়ে।আয়েশার বাবার একটা পোষা শালিক  পাখি ছিল।ডাক দিলে উড়ে এসে হাতের মধ্যে বসে পড়তো।  এমনকি কথাও বলতে পারতো মানুষের মতো করে।  পাখিরা কথা বলতে পারে বাবা? শুধু শালিক পাখি নয় ময়না টিয়ে ওরাও ক...
জিয়ানা ও মহাবিশ্ব

জিয়ানা ও মহাবিশ্ব

কিশোর গল্প
সাগর আহমেদ : জিয়ানা এবার ক্লাস সিক্সে উঠেছে। নতুন বই , নতুন সিলেবাস, নতুন সবকিছু। সে তার নতুন বইগুলো নেড়েচেড়ে দেখছিলো। হঠাৎ তার চোখ আটকে গেল ভূগোল বইয়ের মহাবিশ্ব অধ্যায়ের একটা ছবির দিকে। এমন সময় টোকন মামাকে নিয়ে ওদের বাসায় অপু এলো। অপু জিয়ানার বড় বোন টিয়ানার ক্লাসমেট। সে  তিয়ান ও টিয়ানাকে নিয়ে দুঃসাহসী কিশোর দল গঠন করেছে। নানা দেশে,নানা জায়গায় এডভেঞ্চার করে বেড়ায়।   অপুর টোকন মামা প্রায়ই ওদের  সঙ্গে থাকেন। টোকন মামাকে দেখে জিয়ানা চেঁচিয়ে উঠলো," মামা, মামা, দেখতো আমার ভূগোল বইয়ে এই ঝাড়ুর মতো জিনিসটা কি? এটির মাথার দিকে আবার গোলাকৃতি অগ্নিগোলক।" টোকন মামা ভালো করে দেখে নিয়ে বললেন,"এটাতো ধুমকেতু। মহাকাশে এমন ছোট বড় অনেক কিছু রয়েছে। যেমন আমাদের সৌরজগতের সূর্য ও ৮টি গ্রহ রয়েছে, তেমনি অনেকগুলো সৌরজগত নিয়ে একটি গ্যালাক্সি বা ছায়াপথ ...
ডিম নিয়ে এলাহিকাণ্ড

ডিম নিয়ে এলাহিকাণ্ড

রম্য রচনা
মো. আশতাব হোসেন : ঝুমুর মিয়া অনেকটাই অলস, তার মধ্যে সবেমাত্র  বিয়ে করে নতুন বধূ ঘরে এনেছে । বউকেও তেমন কিছু দিতে পারে না। যা দরকার ঝুমুর মিয়ার বাবাই কিনে দেয় বউকে। সবারই একান্ত ব্যক্তিগত কিছুর দরকার হয়।  বউরাও স্বামীর কাছে কিছু আশা করে।  কিন্তু ঝুমুর মিয়ার কিছু দেওয়ার সাধ্য নেই। বাবার ঘাড়ে খায় এটাইতো বেশী। এসব দেখে  বউ একদিন ভাবে বাবা-মা কেমন অলস জামাই দেখে বিয়ে দিয়েছে! সে কিছুই কিনে দিতে পারে না! এর পর ঝুমুর মিয়াকে বলে এই শোনো, এমন করে বসে থাকলে ভবিষ্যৎ জীবন চলবে কেমনে?  কিছু একটা তো করো। ঝুমুর বলে কি আর করব!  আমার কাছেতো কোনো টাকা পয়সা নেই। বউ বলে আচ্ছা  আমার কাছে কিছু টাকা আছে সেটা দিয়ে ডিমের ব্যবসা করবে। গ্রাম থেকে ডিম কিনে তা বাজারে বিক্রি করবে।  বাজারেতো ডিমের হালি ৪০ টাকা, আর গ্রাম থেকে কিনতে পারবে ৩০টাকা।  তুমি ...