Monday, December 1
Shadow

Author: webgolpo2024

স্বাধীনতার তরে

স্বাধীনতার তরে

কবিতা
আসাদুজ্জামান খান মুকুল বাংলা আমার জন্মভূমি বাংলা আমার ভাষা, এই দেশেতে বসত করে মিটাই সকল আশা। আমার দেশে শাসন করে পাকশাসকে এসে, মায়ের ইজ্জত হরণ করে হত্যা করে শেষে। দীর্ঘ বছর করতে শাসন করে তারা ফন্দি, জুলুমবাজের অত্যাচারে বাংলা তখন বন্দি! মুখের ভাষা কেড়ে নিতে  পণ করে যে তারা, বাঙালি তাই প্রতিরোধে হচ্ছে পাগলপারা! বীরবাঙালি স্বাধীন হতে  অস্ত্র হাতে নিলো, বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে বিজয় এনে দিলো। যাঁদের ত্যাগে পেলাম আমরা স্বাধীন স্বদেশ ভূমি, শ্রদ্ধাতে হই মাথা নতো তাঁদের চরণ চুমি! স্বাধীনতায় খুশির বীণ আজ বাজে হৃদয় মাঝে! লাল সবুজের পতাকাটা উড়ে সকাল-সাঁঝে। বাংলা এখন স্বাধীনরাষ্ট্র  সকলেই তা মানে, স্বনির্ভর এক দেশ হিসাবে বিশ্ববাসী জানে। গ্রাম- সাভার  পোস্ট - হেমগঞ্জ বাজার  উপজেলা - নান্দাইল জেলা - ময়মনসিং...

রোজা রাখবে খোকা খুকি 

ছড়া
নার্গিস আক্তার  রমজানের ঐ চাঁদ উঠল হেসে  খোকা খুকি খুশি  রোজা রাখবে খোকা খুকি  সেহরী খাবে বেশি।  ছোটবেলায় আকাশে চাঁদ  উঠতো যখন ভেসে  ঘুম পড়তাম না সারারাত  রোজা রাখব হেসে।  মায়ে- বাবা বলতেন ডেকে  ভাত খাও তিন বেলা  একদিনে রোজা হবে তিনটা  কেটে যেত  বেলা। খুশির আনন্দে দিন হত শেষ  এই ছিল রোজার খেলা প্লেট ভরে খাবার নিতাম  ভোর রাতের বেলা। গোপালগঞ্জ, ইসলাম পাড়া, বাংলাদেশ ...
মা আসিয়া!

মা আসিয়া!

সামাজিক গল্প
রকিবুল ইসলাম ও মা! মাগো!ও মা আসিয়া!তাহলে এটাই ছিল তোমার মনে?ছেড়েই যদি যাবে বেলা শেষে,মিছিমিছি পাষাণ হৃদয়কেও কেন হার মানালে!কেন তোমার জন্য কাঁদবে গোটা জাতি?এরা তো বর্বর! এরা তো নরপশু,পাষণ্ড!আইয়ামে জাহেলিয়াত তুমি তো দেখনি, আমরাও দেখিনি।তবে, তোমার সাথে হলো যেটা, এদের কাছে,,,ওই বর্বর যুগও বোধকরি হার মেনেছে।তুমি তো মারা যাওনি মাগো!মওলার উদ্দেশ্যে তোমার এই স্বর্গীয় যাত্রা নাড়া চিরকাল দিয়ে যাবে,অক্ষিপুঞ্জ নি:সৃত নোনা জলের অঝোর ধারা কিছু মনুষত্বহীন সীমারের মরুময় বুকে উপহার দিয়ে গেলে।এই বিবেক বিসর্জিত জাতিকে চিরকাল অপরাধী তুমি করে গেলে।তোমার অতৃপ্ত আত্মার দোঁহায়!ক্ষমা করো না মা এদেরকে।এরা যেন এহেন পৈশাচিক সুখ নিয়ে সারাটি জীবন গুমড়ে কেঁদে মরে।ভয়াল সেই বিচারের দিন ঘনাবার পূর্বেই বার বার যেন দাহ হয় দোজখের অসহনীয় অনলে।ওদের আত্মা, ওদের বিবেক যেন ওদেরকে ক্ষমা না করে।ভালো থেকো মা চিরনিদ...
রমেশ ও দুর্গাপূজা

রমেশ ও দুর্গাপূজা

সামাজিক গল্প
ফারুক আহম্মেদ জীবন : ভারতের পশ্চিম কলকাতার বাসিন্দা কার্তিক। স্ত্রী সুবাসিনী, ছোট বোন পুষ্পরেণু, যাকে সংক্ষেপে সবাই পুষ্প বলে ডাকে। বিধবা মা, নির্ঝরীণি আর চার বছরের ছেলে রমেশকে নিয়ে কার্তিকের পাঁচ সদস্যের একটা সুখের সংসার।  দুর্গাপূজা প্রায় এসে গেছে। আর তাই ছোট্ট ছেলে রমেশ তার মা-বাবার কাছে বায়না ধরেছে এবার দূর্গা-পূজা সে বাংলাদেশে গিয়ে তার ঠাকু -মা আর ঠাকু-দার সাথে করবে। একটা কথা আগেই বলে রাখা ভালো। রমেশের বাবা কার্তিক ভারতের বাসিন্দা হলেও তার মা- সুবাসিনী রায় এর জন্মস্থান হলো বাংলাদেশের যশোর জেলায়। বাংলাদেশে রমেশ এর বাবা কার্তিকের বাবা-ঠাকু-দার সূত্র ধরে বহু আত্মীয় স্বজন রয়েছে। সেই সূত্র ধরে কয়েকবছর আগে কার্তিক পাঁচফুট ভিসা করে বেড়াতে গিয়ে ছিলো বাংলাদেশে আত্মীয়ের বাসায়। আর এসেই প্রথম দেখেই প্রেমে পড়ে গিয়েছিল কার্তিক রমেশের মা- সুবাসিনীর রায়ের।ঠিক কাঁচা হলুদের মতো য...

বিরহী ফাগুন 

কবিতা
আসাদুজ্জামান খান মুকুল গগনে গগনে ফাগুনের বাণী  বাগানে ফুলের ডালি. সাথীহারা মনে শূন্যতা তবু রয়ে যায় এক ফালি। ফুলে ফুলে কতো সেজেছে ফাগুন  সুর ঝংকার বাজি, বিরহীর প্রাণ করে আনচান  সখা যে এলোনা আজি! পলাশ ফুলের রাঙ্গা আগুনে  পুড়ে দুখিনীর বুক, মৌ বনে অলি ফুলের বিহারে বেড়ে যায় আরো দুখ! রাখালের বাঁশি দূর মাঠে  বাজে কত সুমধুর সুরে, বিরহীর মনে বিষাদ লহরী  সখা আছে বহু দূরে! যার তরে কাঁদে সেই মথুরায় শুনেনি যে তার কথা, বসন্ত প্রেম ঝাপটিয়ে মরে বুঝাবে সে কারে ব্যথা! নান্দাইল, ময়মনসিংহ...

রঙিন স্পন্দন

কবিতা
তাসনিম মীম শীতের শুষ্কতা কাটিয়ে এলো নতুন পল্লব  কুঁড়ি ও ফুলের মেলা,   চারিদিকে আজ রঙ্গিন বসন্তের শোভা।  গাছে গাছে নতুন পাতা  শিমুল পলাশের লাল আভা, শিহরিত করে  মন কৃষ্ণচূড়ার ঐ লাল দোলনা।  বসন্ত মানেই জীবনের স্পন্দন  প্রকৃতির নবজাগরণ,  গান ও কবিতার মোড়ক উন্মোচন  ভালোবাসা ও কাঙ্খিত স্বপ্নের  যেন পুনরুজ্জীবন।  বসন্ত মানেই প্রকৃতির ক্যানভাসে রঙের ছোঁয়া,  জীবনের প্রতিটি কোনায় কোনায় নতুন আলোর আশা।  পলাশের আগুন আর কোকিলের গান,  সৌরভ আর মৃদুমন্দ বাতাসে  কবিতা ফিরে পায় নতুন প্রাণ। রং, গন্ধ, সুর আর স্পর্শ, বসন্ত যেন  জীবনের সবটুকু আনন্দের এক মহামিলনক্ষেত্র। কৃষ্ণচূড়ার মতো স্বপ্নগুলো হয়ে উঠুক রঙ্গিন  কোকিলের সুরের মতো প্রতিটা জীবন হোক সুরেলা এটাই...

সৌরভ বিলায়

কবিতা
মোঃ আশতাব হোসেন নব যৌবন প্রাপ্ত  জীর্ণ  বৃক্ষ বুড়া, আকাশে রং ছড়ায় পলাশ কৃষ্ণচূড়া। কোকিল ছড়িয়ে দেয় রাজ আসার বাণী, বৃক্ষ শাখে  ঘুরে ঘুরে  মিস্টি কুহু ধ্বনি। প্রকৃতির সদস্য শুনে আনন্দে দোল খায়, আঁচল ভরে বাতাস সৌরভ বিলায়। গ্রাম :ইসলামাবাদ, ডাকঘর বলদিয়া  ভূরুঙ্গামারী, কুড়িগ্রাম ...

জাগো নারী

কবিতা
শাহানাজ শিউলী  আঁধার ঘরে বন্দি হয়ে থাকবি তোরা আর কতকাল ওই উঠেছে পূর্ব দিকে টগবগিয়ে সুর্য লাল ,  আর কতকাল চলবি তোরা কষ্ট নিয়ে বক্ষ ভরে বুকের ভিতর আগুন জ্বালা থাকিস নারে চুপটি করে। কি হবে আর এমনি বেঁচে বাড়িয়ে দেহের আয়ুষ্কাল বুকের জ্বালা বাড়িয়ে দিয়ে বুনরে এবার স্বপ্নজাল,  ফাঁদ  পেতেছে ধর্মগুরু পিষ্ঠে দিতে যাতাকলে মুখোশটাকে দে রে খুলে ভিজিস নারে চোখের জলে।  একটি ভোরের আলসেমিতে গা ভাসিয়ে দিস না ঘুম  আঁধারেটাকে মাড়িয়ে  দিলে দেখবে সুদিন দিচ্ছে চুম। বস্তাপঁচা মিষ্টি কথায় সুজন সেজে আসবে কাছে জীবন -মরণ সন্ধিক্ষণে থাকবেনা কেউ তোর পাশে।  থাকতে সময় বুঝে নে রে তোর জীবনের হিসাব নিকাশ  উঁচু মাথায় বাঁচতে হলে করতে হবে জীবন বিকাশ।  জাগো নারী ভাসাও তরি জীবন যুদ্ধের নাব্যতায় জীবন বলির খড়গ হতে বাঁচত...

মা!

কবিতা
রকিবুল ইসলাম "মা"য়ের একফোঁট দুধের দাম,কাঁটিয়া গায়েরও চাম! পাপস বানাইলেও ঋণের শোধ হবেনা। এমন দরদী ভবে কেউ হবে না আমার মা-গো।" পৃথিবীর সকল "মা"কে জানাই আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে অজস্র,অপরিসীম,অকৃত্রিম,সুগভীর সন্মান ও শ্রদ্ধা। প্রসবকালীন সময়ে জন্মদাত্রী "মা"য়ের শরীর থেকে বের হওয়া প্রতিটি রক্তবিন্দু,প্রতিটি যন্ত্রণা,প্রতিটি বেদনার বিনিময়ে আজকের আপনি,আমি,আমরা। আমাদের স্বার্থেই "মা" হয়েছেন বীরাঙ্গনা। আমাদের তরেই বিলিয়ে দিয়েছেন তার দেহের এক,এক ফোটা দুগ্ধ বিন্দু,বিসর্জন দিয়েছেন সকল সাধ,আহ্লাদ, কামনা-বাসনা। নিজের সকল চাওয়া-পাওয়াকে দিয়েছেন বিসর্জন, করেছেন সন্তানের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা সদা।  ভুলেছেন নিজের মুখে খাবার তোলার কথা, দিয়েছেন তুলে খাবার আমাদের মুখে নিজে অভুক্ত থেকে "মা"। সন্তানের স্বার্থে তার জীবনটাই অকাতরে বিলিয়ে গেলেন যে "মা", ...

জীবনের অবসান!

কবিতা
রকিবুল ইসলাম আমি চেয়েছি হতে নিরুদ্দেশ, নিতে চেয়েছি ছুটি। চেয়েছি পালাতে জীবন থেকে, চেয়েছি অনন্তর-নিরন্তর মুক্তি। মিশতে চেয়েছি আকাশ-জমিনের মিলনস্হলে, ডুবতে চেয়েছি সাগর-নদীর মোহনায়। মিলিত হতে চেয়েছি ভূ-ত্বকের ধূলিকণায়, হারাতে চেয়েছি গগণের নীলিমায়। ঘণ-গাঢ় সবুজ বনানী ডাকে আমায়, দর্শণার্থে তার নিঝুম সৌন্দর্য!  ভীতসন্ত্রস্ত অসহায় আমার মননকে অনুপ্রেরণা যোগাতে অগ্রসর হয়ে আসে লক্ষ-কোটি জোনাকির সংঘ। অগণিত তারকারাজির মেলা অভ্যর্থনা জানায় আমাকে তার নীলাভ আলোর ঈষৎ আভায় স্নাত হতে, দখিনা হাওয়াও আমাকে মৃদু তৃপ্তি দিতে যোগ দেয় সেই সভাতে। ক্ষণিক আমাদে উদ্বেলিত করতে আমায় ডানা ঝাপটে উড়ে আসে প্রজাপতির দল! সহস্র ঝি ঝি পোকা গেয়ে উঠে,  হয়ে যায় গীতি শতদল। সবুজ দূর্বাঘাস বিছিয়ে দেয় গালিচা, হতে আমার চলার পথের সহা...