Monday, December 1
Shadow

Author: webgolpo2024

খোকার ঈদ

খোকার ঈদ

কিশোর গল্প
মো. আশতাব হোসেন : কোরবানি ঈদের চাঁদ দেখে চঞ্চলের খুশির সীমা নেই।  ঈদের আর ক'দিন বাকি আছে চঞ্চল প্রতিনিয়ত গুণতেই আছে । তার অপেক্ষা যেন শেষ হচ্ছে না।  ইতোমধ্যেই তার বাবা মজিদ সরকার চঞ্চলের ঈদের নতুন জামাকাপড় কিনে দিয়েছে। চঞ্চল তার বন্ধু বান্ধবদের ডেকে এনে নতুন পোশাকগুলি দেখায় রোজ রোজ। কেউ যদি বলে, বাহ্! তোমার পোশাকগুলি অসাধারণ হয়েছে। তাহলে তার  খুশির সীমা থাকে না।পাশের বাড়ির এক বয়স্ক মহিলা যাকে চঞ্চলসহ তার বয়সী সকল ছেলেমেয়েরা দিদা বলে ডাকে, তাকে হাত ধরে নিয়ে আসে চঞ্চল তার নতুন পোশাক দেখানোর জন্য। বুড়ি তো ঠিকমতো চোখেই  দেখে না বয়সের ভারে। কিন্তু ছোট চঞ্চল এতোকিছু বুঝে না। সে পোশাক বের করে বলে, ' দিদা, আমার ঈদের পোশাকগুলি কেমন হয়েছে দেখো তো? দিদা হাতে নেড়ে নেড়ে চঞ্চলের জিন্সের প্যান্ট দেখে বলে,  'বেশতো চঞ্চল,  খুব মোটা আছে। শীতের মধ্যে আরাম হবে, শীত লাগবে না  তোর।' এর...
মায়ের মুখ 

মায়ের মুখ 

ছড়া
অপু বড়ুয়া  আমার যত স্বপ্ন আশা  আমার যত বুকের ভাষা  জীবন জুড়ে আমার যত  সুখের কলরব  সবই আমার মাকে নিয়ে  মাকে নিয়েই সব।  আমি যখন পদ্য লিখি  যখন করি গান  তালপুকুরে হল্লা পরে  যখন করি স্নান।  তখন আমার হৃদয়জুড়ে  থাকে মায়ের মুখ  মা-ই আমার নিত্যদিনের  স্বপ্ন সোহাগ সুখ। ...
মায়ের পরশ

মায়ের পরশ

কবিতা
আব্দুস সাত্তার সুমন  মায়ের পরশ মিষ্টি মিষ্টি ভীষণ ভালো লাগে, মায়ের আঁচল বুকের ভেতর অনুভূতি জাগে। মায়ের ঘ্রাণ শীতল করে মনের ভিতর ব্যথা, আদর মাখা হাতটি দিয়ে বুলায় যখন মাথা। আব্বু আম্মু বলে ডাকে আঁকড়ে ধরে যখন, মায়ার বাঁধনে জড়িয়ে রাখে শান্তি পাই তখন। পরশ দিয়ে আগলে রাখে পূর্ণ করে চাওয়া, মা হলে স্বর্গ মনি বেহেস্ত থেকে পাওয়া। মায়ের পরশ সবার সেরা তুলনা যে নাই, মায়ের মত এই জগতে পরশ কোথায় পাই?...
খুকির ঋণ

খুকির ঋণ

ছড়া
জাকির সেতু happy smiling father and daughter dancing পড়ছে খসে মুক্তা মণি  পড়ছে খসে হার পড়ছে খসে পাখির ডানা রুখবে সাধ্য কার! অন্ধকারে শুয়ে আছে আমার ছোট্ট আলো সুখের ঘুমে এই ধরাতে আছে সে যে ভালো! কেমন করে কাটাই আমি সুখের রাত্রি দিন বিষণ্নতা ভরে গেছে, তোমার দেওয়া ঋণ।  যোগাযোগ- জাকির সেতু  গ্রাম : নাগডেমরা  উপজেলা : সাথিয়া  জেলা : পাবনা ...
সায়েন্স ফিকশন গল্প : বিরিন্তা

সায়েন্স ফিকশন গল্প : বিরিন্তা

সায়েন্স ফিকশন
ধ্রুব নীলের সায়েন্স ফিকশন গল্প -- বাংলা সন ১৪০১। পাঁচই ফাল্গুন। তৈয়ব আখন্দ বিব্রতকর অবস্থায় উঠোনে বসে আছে। হুরাসাগর নদীতে কী করে মরতে মরতে দশ কেজি সাইজের বোয়াল মাছ ধরেছে সেই গল্প শুনছিল হারু মাঝির কাছ থেকে। মাঝি চলে গেল। রেখে গেল নিরবতা। তৈয়ব গেল মেয়ের পড়ার টেবিলের দিকে। পুরো বাড়িতে বাপ-মেয়ে ছাড়া আর কেউ নেই। মেয়েটাও শব্দ করে পড়ে না। সন্ধ্যা হতেই ঝপ করে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের নীরবতা নেমে আসে শোলাকুড়ি গ্রামের পুরনো বনেদি ধাঁচের টিনশেডের বাড়িটায়। বাড়িটা তৈয়বের নয়। বাড়ির মালিক তার স্ত্রী আফরিন নাহার। ঝগড়া যতবার হতো, সে-ই চলে যেত রাগ করে। পাশের নরিল্লা গ্রামে বড় ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে উঠত। ‘বিচিত্র ব্যাপার। তোর মা আমাকে বের করে দিলেই পারে। দুনিয়ার সব অঙ্ক ডাইলভাত, সংসারের অঙ্ক মিলাইতে গেলে চক্কর লাগে। এখন তারে আবার তার বাড়িতে ডাইকা আনা লাগবে।’ ‘বাবা, মিষ্টি কুমড়া...
হেলদি ক্লাবের হুলস্থূল

হেলদি ক্লাবের হুলস্থূল

কিশোর গল্প
জুয়েল আশরাফ : পদ্মপুর গ্রামের স্কুলে একটা আজব ক্লাব ছিল—'হেলদি ক্লাব'। এই ক্লাবের সদস্যরা ছিল বিশাল একদল দুষ্টু ছেলেমেয়ে, আর তাদের নেতা ছিল বোকা রাজু! রাজু মোটেও স্বাস্থ্য সচেতন ছিল না। ওর খাবারের লিস্টে থাকত—চিপস, চকোলেট, আইসক্রিম, আর কোল্ড ড্রিংকস। একদিন, হেডস্যার স্কুলের সব ছাত্রকে ডেকে বললেন, এবার থেকে স্কুলে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানোর জন্য 'হেলদি ক্লাব' তৈরি করা হবে! ক্লাবের নেতা হবে রাজু! রাজুর চোয়াল ঝুলে গেল। ওর মাথায় শুধু চকোলেট ঘুরছিল, আর এখানে তাকে স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে? কিন্তু হেডস্যার আরও ঘোষণা দিলেন, যে দল সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করবে, তাদের জন্য থাকবে স্পেশাল পুরস্কার! এটা শুনেই রাজুর চোখ চকচক করে উঠল! রাজু ভাবল, পুরস্কার তো চাই, কিন্তু স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন? নাহ, এটা কঠিন! তাই ও এক ধূর্ত বুদ্ধি আঁটল! ওর বন্ধুরা—সুমন, টুকুন, আর পল্টু সব...
লাল ফুল

লাল ফুল

কিশোর গল্প, জাদু-বাস্তবতা
ধ্রুব নীল : সিলিংয়ের দিকে তাকিয়ে এক এক করে বত্রিশ পর্যন্ত গুনে ফেলেছে অন্তু। তবু ঘুম আসার জো নেই। মাকড়সার ঝুলের ভেতর একটা নীল পোকা আটকে আছে। ওটার দিকে তাকিয়ে থাকলেও অন্তু ভাবছে অন্য কিছু। মনে মনে নিজের বয়স হিসেব করলো একবার। তিন হাজার চুয়ান্ন থেকে বাষট্টি সাল। কতো হলো? সাত নাকি আট পেরুলো? মনে মনে ধরে নিল এখন তার বয়স আট। তারমানে এখন তার একটা গোপন কুঠুরী থাকতে পারে। যেমনটা ছিল তার দাদার। দাদার কথা মনে পড়তেই আবার চিন্তা ঘিরে ধরলো অন্তুকে। দাদা মারা গেছেন পাঁচ দিন হলো। কিন্তু অন্তু দাদাকে কখনই ভুলতে পারবে না। দাদা তাকে বিশাল এক দায়িত্ব দিয়ে গেছেন। একটা বাক্স পাহারা দেয়ার দায়িত্ব। ওটা আছে ঘরের পেছনের একটা কড়ই গাছের গোড়ায়। মাটির তলায়। ওটাই এখন অন্তুর গোপন কুঠুরী। তাই অন্য সবার মতো ঘুমানোর আগে শেষবারের মতো গোপন কুঠুরীর সব ঠিকঠাক আছে কিনা তা দেখে আসার তাগিদ অনুভব করলো অন্তু। ...
পিবিজ্ঞানী পিপি

পিবিজ্ঞানী পিপি

কিশোর গল্প
ধ্রুব নীল : মানুষ যেমন নাছোড়বান্দা হয়, পিপি তেমনি নাছোড়পিপড়া। কিছুই ছাড়বে না সে। হাতের কাছে যা পাবে, তা’ই ধরে দেখবে। যদি নতুন একটা কিছু বানানো যায়! গতবছর এভাবে একটা মাটি খোঁড়ার বেলচা আর মোটর জুড়ে দিয়ে বানিয়ে ফেলেছিল আজব এক যন্ত্র। সবাই দারুণ প্রশংসা করেছিল পিপির। যন্ত্রটা দিয়ে এক সেকেন্ডের মধ্যে মাটি খুড়ে ভেতরে ঢুকে যাওয়া যায়। মানুষের পায়ের চাপ থেকে বাঁচার জন্য যন্ত্রটার জুড়ি নেই। যন্ত্রটার জন্য পিপি বছরের সেরা পিবিজ্ঞান পুরস্কার পেয়েছিল। মহল্লার রানী পিঁপড়া তাকে নিজ হাতে চিনির দানা খাইয়ে দিয়েছিলেন। আহা! সেই স্বাদ এখনো ভুলতে পারছে না পিপি। কিন্তু কী করবে, এ বছরে একটা নতুন আবিষ্কারও করতে পারেনি বেচারি। বসে বসে কেবল ভেবেছে আর ভেবেছে। তবে আজকে একেবারে মাথার দুটো শুঁড় বেঁধে নেমে পড়েছে পিপি। নতুন কিছু আবিষ্কার করেই ছাড়বে।সকাল থেকে পিপিকে খুঁজে পাচ্ছে না তার মা চি বেগম। মেয়েটা অল্পবয়সেই ...
অঙ্কপুরের গল্প

অঙ্কপুরের গল্প

কিশোর গল্প
ধ্রুব নীল : মগডালে দুটো পা পেঁচিয়ে উল্টো হয়ে ঝুলে আছে ছোট্টা খোকা শূন্য। তার মারাত্মক মন খারাপ। আজকের ঝগড়াটা একটু একতরফা হয়ে গেছে। এক আর দুইয়ের সঙ্গে আজ একটুও পেরে ওঠেনি সে। দেখতে ছোট বলে এভাবে সবার সামনে অপমান করতে হবে? এক বলে কিনা, ‘তোর তো কোনো মান নেই, একেবারে অর্থহীন। তোর নামের মানে বুঝিস? এক্কেবারে ফাঁকা। ফাঁকা মানে ফক্কা, ফক্কা মানে জিরো, জিরো মানে শূন্য।’ তার সঙ্গে তাল মিলিয়েছে হতচ্ছাড়ি দুই। বেণী দুলিয়ে বলে, ‘তুই যে কেন আছিস তা তুই নিজেও জানিস না। এই আমাকেই দেখ না! সবচে ছোট মৌলিক সংখ্যা আমি, সবাই আদর করে। তুই তো অংকই না।’ মন খারাপ হলেই শূন্য গাছের ডালে পা আটকে উল্টো হয়ে ঝুলে থাকে। একদম স্থির। কেউ বুঝতেই পারে না। আজও তাই ঝুলে আছে। ঝুলতে ঝুলতে শূন্য ভাবছে তার শৈশবের কথা। তাকে অংকপুরে এনে দিয়েছিল আর্যভট্ট নামের এক ভারতীয় গণিতবিদ। তারপর গোটা বিশ্বে সেকি হই চই। তার কারণ...

লেখক মোতাব্বির বনাম অন্তু

কিশোর গল্প
ধ্রুব নীল : ‘ছেলেটার নাম অন্তু। বয়স তের কি চৌদ্দ। কিন্তু ভাব দেখে মনে হবে তেইশ চব্বিশ। এক নামে সবাই চেনে। বখাটে বলেও ডাকে কেউ কেউ। লম্বা একটা লাল শার্ট পরে ঘুরে বেড়ায়। লম্বা শার্টের সঙ্গে মাঝে মাঝে হাফ প্যান্ট পরে। চুল এলোমেলো। সম্ভবত তার মা-বাবা কেউ নেই। আমি তাকে প্রতিদিন দেখি। বিকেলে মাঠের এককোণে একদল টোকাইয়ের সঙ্গে বসে বসে বাদাম খায় সে। গ্রামে এমন কেউ নেই, যাকে সে জ্বালিয়ে মারেনি। তবে তার চোখেমুখে সবসময় একটা কিং.. কিং.. কিং..।’ -       কী লিখসেন এইডা? ওই মিয়া কী লিখসেন এইহানে। -       কিংকর্তব্যবিমূড় হবে ওটা। হেহেহে। মানে কী করবে তা ভেবে না পাওয়াকে বলে কিং..। -       হেইডা কী, খায় না মাতায় পিন্দে। আপনে তো আসলেই একটা কিলিকবাজ। -       কী বাজ? ...