কথার কথা

রকিবুল ইসলাম সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা, নয়নাভিরাম একটি গ্রামের নাম রূপপুর।শহর থেকে অদূরে অবস্থিত হলেও শহুরে সকল সুযোগ-সুবিধাই এখানে বিদ্যমান। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা একটু দুর্বল হলেও এখানকার জীবন যাত্রা বেশ ভালো। ঠিক এমনি একটি পরিবেশে ঠিক ৩৫ বছর পূর্বে এক মৎস্য ব্যবসায়ীর গৃহ আলোকিত করে শুভাগমন ঘটে একটি নির্মল,নিষ্কলঙ্ক, ফুটফুটে সাদা ফুল 🌹!কি বলে ডাকি…

রঙধনু বিকেলের স্বপ্ন।

রকিবুল ইসলাম আজ ভোর হইতেই বর্ষা নামিয়াছে। ভারী বর্ষণ যাহারে বলিয়া থাকি তেমনটা নয় আর কি! কথার 🏠 গৃহ হইতে অফিস দুই কিলোমিটারের মত দূরত্ব হইবে। একখানি ছাতা লইয়া বৃষ্টি উপেক্ষা করিয়া কিছু দূর হাঁটিয়া তারপর একটা রিকশায় চাপিয়া সে আজ অফিসে আসিয়াছে। আকাশ অবশ্য রেইনকোট পরিয়া পায়ে হাঁটিয়াই অফিসে আসিয়াছে। আকাশের বাড়ি হইতে অফিসের…

ভালোবেসেছিলাম তারা

রকিবুল ইসলাম যাবেন নাকি? কোথায়? চলুন না একটু ঘুরে আসি! কোথায় যাবেন? আপনি যেখানে নিয়ে যাবেন সেখানেই যাব।তবে,দেখবেন জায়গাটা যেন কোলাহল মুক্ত হয়। ঠিক আছে! মহারাণী’র আদেশ শিরোধার্য।এই আমাকে মহারাণী বললেন কেন? আমি আবার কবে আপনার মহারাণী হলাম? ভুল বুঝে থাকলে আমি দুঃখিত। কথা’র কথার উত্তর দিতে গিয়ে থমকালো আকাশ। কথা তার হাত দিয়ে মুখ…

বালক বেলার প্রেম!

রকিবুল ইসলাম আমি তখন সবে প্রাথমিকের গন্ডি পেরিয়ে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম।সময়টা ১৯৯৬ সাল হবে। আমার বিদ্যালয়ের নাম ছিল ক্রিসেন্ট প্রি-ক্যাডেট নার্সারি স্কুল। সহপাঠী হিসাবে পেয়েছিলাম বাবু,মিন্টু,শরিফুল,সোহাগ,রিয়াদ প্রমূখকে। গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যায়ন করা আমি অন্যান্য সহপাঠীদের সাথে সহজ হতে পারছিলাম না।অন্য ভাবে বলতে গেলে বলতে হয় তারাও ঠিক সহজভাবে মেনে নিতে পারেনি আমাকে।ষষ্ঠ শ্রেণীর…

কখনো তুমি!

রকিবুল ইসলাম তুমি কখনো বরষার অবারিত বারি,আবার কখনো তুমি প্রচন্ড দাবদাহেপ্রজ্জ্বলিত অগ্নিদাহ খরা।কখনো তুৃৃমি কনকনে শীতের হিমবহতা,আবার কখনো তুমি বসন্তের মিষ্টি হাওয়া।কখনো তুমি পড়ন্ত বিকেলের গোধূলী লগন,তেজস্বী রবির বিদায় বেলা।আবার কখনো তুমি দিবাভাগের অন্তিম মূহুর্তের রক্তিম গগন, পাখিদের নীড়ে ফেরার সন্ধিক্ষণ,রাতের নীল আকাশে তারা’দের অসারিবদ্ধ বিচরণ।কখনো তুমি জোঁনাকীর আলো, তুমি দৃষ্টির পিদিম, তুমি আলেয়ার আলো।তুমি…

কবিতা: বাঁচব মরণে

যাবে থেমে সব কোলাহল,নিভবে সাধের জীবন প্রদীপ!নামবে তমসাবৃত গাঢ় আঁধার,ছিনিয়ে নিবে আলো চোখের। থামবে সকল ব্যস্ততা যখন,সকল খরা ঘুচবে তখন।ঘনাবে তমসাবৃত গাঢ় আঁধার,লেনা দেনা মিটবে সকল। ছিন্ন হবে সকল বাঁধন,চাওয়া পাওয়ার হলোনা মিলন।ফিরবো না কভু আসবো না আর,অতি অসহায় এই ছিন্নমূল। কাঁদবে সকল বন্ধু স্বজন,করবে বিলাপ পরিবার পরিজন।হলোনা জীবনে বাঁচা যখন,“বাঁচব মরণে” সতত তখন।

রকিবুল ইসলামের কবিতা বাঁচবো মরণে